নিউজ ডেস্ক:: ভেজালবিরোধী পৃথক অভিযানে চার প্রতিষ্ঠানকে ১৯ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পুলিশ ও র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার রাজধানীর কেরানিগঞ্জ ও কারওয়ানবাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রাজধানীর কেরানিগঞ্জে এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে বিদেশি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন কসমেটিকস নকল করার অপরাধে তিনটি কারখানাকে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের নকল প্রসাধনী তৈরির কাঁচামাল জব্দ করা হয়।
এদিকে কারওয়ান বাজার এলাকায় অভিযান চালায় ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান। এ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির অপরাধে চারুলতা রেস্টুরেন্টকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, দেখে বোঝার উপায় নেই এটি সেনসোডাইন পেপসোডেন্ট, ডাবোর আমলা তেল, প্যারাসোট বেলিফুল কিংবা মুভ ব্যথার ওষুধ না। হুবহু নকল করে এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে ১৫ ধরনের নকল কসমেটিকস বাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল প্রতিষ্ঠান তিনটি।
তিনি বলেন, কেরানিগঞ্জের পশ্চিম বারিশুর এলাকায় এই বাড়িতেই লোক চক্ষুর আড়ালে বিদেশি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন নামিদামি কসমেটিকস তৈরি করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখান থেকে পাশের আরেক বাড়িতে অভিযান চালিয়েও পাওয়া যায় নকল কসমেটিকস তৈরির কারখানা। বিএসটিআইএর অনুমোদনহীন তৈরি এসব কসমেটিকস মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলেও জানান তিনি। এ সময় বিএসটিআই কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে চারুলতা রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও বাসি খাবার রাখার দায়ে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে-ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বারবার ব্যবহার করা পোড়া তেল, গরম করা বাসি হালিমসহ অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর ও বাসি খাবার নষ্ট করা হয়।