স্পোর্টস ডেস্ক:: এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ফাইনালে উঠতে হলে শেষ ম্যাচে স্বাগতিক মালয়োশিয়া বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিলনা টাইগ্রেসদের সামনে। আজ মালয়েশিয়াকে ৭০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে উঠলো বাঘিনীরা। আসরে এটি বাংলাদেশের টানা চতুর্থ জয়। আজ কিনরারা একাডেমি ওভাল মাঠে টস জিতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৬০ রানে থামে মালয়েশিয়ার ইনিংস। রোববারের ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।
এদিন আরেক ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত। আসরের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০০৪-এ প্রথমবার এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের আয়োজনে মেয়েদের এশিয়া কাপ ক্রিকেট শুরু হয়। সেবার ভেন্যু ছিল শ্রীলঙ্কা। প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। শুধু তাই নয়, ২০১৬ পর্যন্ত মোট ৬ বার মেয়েদের এশিয়া কাপ হয়েছে।
আর প্রত্যেকবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ২০০৮ পর্যন্ত এই আসর ছিল ওয়ানডে ফরম্যাটের। এবার নিয়ে টানা তিনবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হচ্ছে এশিয়া কাপ। এদিন ব্যাট হাতে বাংলাদেশর শুরুটা ভালোই করেছেন দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও আয়েশা রহমান। ৯.৫ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতে ৫৯ রান তুলেন তারা। আয়েশা ৩১ রান করে আউট হলেও শামিমা ব্যাট হাতে ছিলেন অবিচল। এরপর অবশ্য তেমন বড় কোন জুটি হয়নি। ৫৪ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন শামিমা। তিনি দলীয় ৮৭ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান। দলীয় ১২৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ফাহিমা খাতুনের ১২ বলে ৩ চারে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১৩০ রানের স্কোর দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
মালয়েশিয়ার পক্ষে ১৯ রান খরচায় দুই উইকেট নেন ডানহাতি পেসার উইনিফ্রেড দুরাইসিংগাম। ১৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ রানে প্রথম উইকেট খোয়ায় মালয়েশিয়া। বাংলাদেশি বোলারদের তোপে পড়ে ৫০ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারায় তারা। ততক্ষণে শেষ ১৫ ওভারের খেলা। বাকি ৫ ওভারে আরো ৪ উইকটে হারিয়ে ৬০ রানে থামে মালয়েশিয়া।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারের স্পেলে ৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন স্পিনার রুমানা আহম্মেদ। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন জাহানারা আলম, সালমা খাতুন, নাহিদা আক্তার ও খাদিজাতুল কুবরা। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন ওপেনার শামিমা সুলতানা।