নিউজ ডেস্ক:: রাজধানীর শাহবাগ থেকে র্যাব সদস্যরা কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে তুলে নিয়েছিল বলে দাবি করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে ভাই ও বোনকে ডেকে নিয়ে তাদের হাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান ইমরান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর–রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান এ কথা জানান।
তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় তাকে তুলে নেয়া হয়েছে, সেটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। শুধু প্রতিবাদ করার জন্য একটি প্রতিবাদসভা থেকে কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়া সিনেম্যাটিক স্টাইলে তুলে নেয়ার বিষয়টি প্রত্যাশিত নয়।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শাহবাগে মাদকবিরোধী অভিযানে ‘বিনা বিচারে হত্যা’র প্রতিবাদে পূর্বঘোষিত সমাবেশে যোগ দিতে গেলে ইমরানকে আটক করে র্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কে ইমরান জানান, আটকের পর কালো কাপড় দিয়ে চোখমুখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে তাকে র্যাব ৩-এর কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এলে কালো কাপড় ও হাতকড়া খুলে দেয়া হয়।
এর পর র্যাব কর্মকর্তারা তার কাছে জানতে চান, তিনি কিসের জন্য আন্দোলন করছেন? এর উদ্দেশ্য কী? এ ছাড়া র্যাব কর্মকর্তারা ইমরানকে মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে, তার যৌক্তিকতার কথা জানান।
ইমরান জানান, পরে তার বোন ও ভাইয়ের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন র্যাবে কর্মকর্তারা। ভাইবোন র্যাব কার্যালয়ে এলে তাদের জিম্মায় রাতেই ইমরানকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিএম জিলানী শুভ বলেন, সারাদেশে বিচার বহির্ভূতহত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে সংবিধান অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালের দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচার লাভের যে অধিকার তা রক্ষা করতে হবে।
অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা, নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা এবং ১৪৬ জন হত্যার ঘটনা তদন্তে উচ্চ আদালতের একজন বিচারপতির মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি করেন এই ছাত্র নেতা। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ বিকাল ৪টায় ফের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও তিনি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন ও ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীসহ প্রমুখ