সিলেট নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করতে এবার সিটি মেয়র আরিফুল হকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ব্যবসায়ী,আইনজীবি, সাংবাদিকসহ সুধীমহলের প্রতিনিধিবৃন্দ।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী ও হকারদের মধ্যে বিকেলের অপ্রীতিকর ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ী , পেশাজীবী ও সুশীলসমাজের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সোমবার (৪ জুন) নগরীর কুমারপাড়াস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সভার আয়োজন করা হয়।
বৈঠকে মেয়র অভিযোগ করেন,ফুটপাত ও সড়কে বসতে বাধা দেওয়ায় সোমবার বিকেলে নগরভবনে হামলা চালায় হকাররা। মহানগর হকার্স লীগের সভাপতি আব্দুর রকিবের নেতৃত্বে এ হামলাকালে তাঁর সাথেও অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মেয়রের এমন অভিযোগের পর উপস্থিত ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী নেতারা আব্দুল রকিবসহ অন্যান্য হামলাকারীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোহাম্মদ লালার সভাপতিত্বে সভায় বক্তারা বলেন, ‘হকাররা আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ফুটপাত দখল করে রেখেছে। তারা নগরবাসীকে জিম্মি করে রেখেছে। তাদের কারণে ফুটপাতে চলাফেরা দায় হয়ে পড়েছে। নগরীর যানজট কোনভাবেই কমানো যাচ্ছেনা। এমন অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। নগরবাসীর স্বার্থে এখনি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বক্তারা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা, সিসিকের অভিযানের পরও হকাররা বেপরোয়া হয় কি করে! তাদের পেছনে কারা আছে? তাদের খুঁটির জোর কোথায়? এদের চিহিৃত করার সময় এসেছে।
সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ বলেন, ‘যারা হকারদের শেল্টার দেয়, তারা নগরীর পাঁচ লাখ মানুষের শত্রু । এদের চিহিৃত করে তাদের সকল কর্মকান্ড বয়কট করতে হবে’। তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, এখন থেকে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে হকারদের বসতে দেয়া হবে না। যারা হকারদের বসার স্থান দিবেন, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। চেম্বার সভাপতির এ ঘোষনার সাথে একাত্ততা ঘোষনা করে বক্তব্য রাখেন, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি, ও জেলা ব্যবসায়ী এক্য কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও নগরীর বিভিন্ন মার্কেট, বিপনী বিতান ও শপিং মলের ব্যবসায়ী নেতারা।
সভায় হকারদের তান্ডবের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় তিনি মঙ্গলবার সকাল থেকে হকার উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখবেন বলে ঘোষনা দেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেল, সুজনের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, পরিবেশ আন্দোলনের নেতা আব্দুল করিম কিম, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন ইমজার সভাপতি আশরাফুল কবীর, কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম, রেজওয়ান আহমদ, আফতাব হোসেন খান সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী, পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরীসহ অনেকেই সভায় উপস্থিত হতে না পারায় মোবাইল ফোনে মেয়রের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেন।