বিশ্বকাপ মাতাবেন যে ১০ তরুণ ফুটবলার

খেলাধুলা ডেস্ক:: প্রতিটি বিশ্বকাপেই কমপক্ষে একজন তরুণ ফুটবলার চোখ ধাঁধানো পারফরম করে চড়ে বসেন খ্যাতির মগডালে। দক্ষিণ আফ্রিকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন টমাস মুলার, তো ব্রাজিলে হামেস রদ্রিগেজ। এবার খ্যাতির শীর্ষে আরোহন করবেন কে? এ নিয়ে পাঠকদের যেন কৌতূহলের অন্ত নেই। তাদের চাহিদা নিবৃত্ত করতেই আমাদের এ লেখা-

সারদার আজমুন (ইরান) : যতটা দক্ষতা থাকলে এশিয়ান ফুটবলে ভালো খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হন কেউ, আজমুনের রয়েছে তার চেয়েও বেশি। পরিসংখ্যান ঘাঁটলেই তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের জার্সিতে ৩০ ম্যাচ খেলে করেছেন ২২ গোল। স্বাভাবিকভাবেই নজর থাকছে ২৩ বছর বয়সী ফুটবলারের ওপর।

গাব্রিয়েল জেসুস (ব্রাজিল) : মূলত তার কারণেই নেইমারের ওপর চাপ কমে যাচ্ছে। দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি। এবার ম্যানচেস্টার সিটিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতাতে রেখেছেন বড় ভূমিকা। সিটির হয়ে ১৭ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৫টি। তিতের হেক্সা মিশনের অন্যতম অস্ত্র ২১ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকার।

জিওভানি লো সেলসো (আর্জেন্টিনা) : এরই মধ্যে আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন লো সেলসো। প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) ট্রেবল জয়ে রয়েছে তার অনন্য ভূমিকা। গোল স্কোরিং ক্ষমতা না থাকলেও করাতে দারুণ পটু তিনি। এ মৌসুমে ৬ গোল করার পাশাপাশি নিশানাভেদে সহায়তা করেছেন ৭ বার। আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডে এবার অন্যতম ভরসা তাই তরুণ সেলসো।

রদ্রিগো বেতানকুর (উরুগুয়ে) : ফের পুরনো ঐতিহ্য ফিরে পাচ্ছে উরুগুয়ে। তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেতানকুর। এবার দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মাঝমাঠের কারিগর তিনি। খেলেন ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে। হিগুয়েইন-দিবালাদের পায়ে বলের জোগানটা আসে এ ২১ বছরের তরুণের পা থেকেই।

কিলিয়ান এমবাপে (ফ্রান্স) : এ তরুণের দক্ষতা-সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। এরই মধ্যে নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। ফুটবল বোদ্ধাদের মতে, এমবাপেই হতে যাচ্ছেন এবারের বিশ্বকাপে ১৯ বছরের বিস্ময়। পিএসজির হয়ে সদ্য শেষ মৌসুমটাও কাটিয়েছেন দারুণ। ২১ বার ঠিকানায় বল জড়ানোর পাশাপাশি সহায়তা করেছেন ১৬ গোলে।

হুয়াং হি-চ্যান (দক্ষিণ কোরিয়া) : দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এ বিস্ময় তরুণ। একক নৈপুণ্যে অস্ট্রিয়ার রেড বুল জালসবুর্গকে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে তুলেছেন তিনি। এবার জাতীয় দলে সেই পারফরম্যান্স অনূদিত করতে চান চ্যান।

মার্কো অ্যাসেনসিও (স্পেন) : রিয়াল মাদ্রিদের শুরুর একাদশের নিয়মিত সদস্য তিনি। তাকে ভাবা হচ্ছে মাদ্রিদের পরবর্তী রাজা। এবার বিশ্বকাপে স্পেনের তুরুপের তাস এ ২২ বছরের তরুণ। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেন অনূর্ধ্ব-২১ দলকে ফাইনালে নেয়ার অভিজ্ঞতা আছে তার।

আলেক্সান্ডার গোলোভিন (রাশিয়া): বর্তমান রুশ ফুটবলে সবচেয়ে বড় তারকা গোলোভিন। বিশ্বখ্যাত সিএসকেএ মস্কো দলে খেলেন তিনি। দলকে সামন থেকে নেতৃত্ব দিতে তার জুড়িমেলাভার। এবার তাকে দেখা যেতে পারে বিশ্বমঞ্চ কাঁপাতে।

টিমো ওয়ার্নার (জার্মানি): ক্ষীপ্রতা, ট্যাকটিকস সব দিক দিয়েই জার্মান দলের অন্য খেলোয়াড়দের চেয়ে আলাদা তিনি। তার কাঁধে ভর করে বিশ্বকাপের ড্রেস রিহার্সেল ফিফা কনফেডারেশন কাপ জেতে জার্মানি। এবার তাকে ঘিরে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে অন্যতম হট ফেভারিটরা।

হারভিং লোসানো (মেক্সিকো) : ডাচ লিগের আলো তিনি। এ মৌসুমে সেই লিগে নিজে করেছেন ১৭ গোল, সহায়তা করেছেন ১১ গোলে। মেক্সিকান ফুটবলপ্রেমীদের আশা, রাশিয়া বিশ্বকাপে দেশের জার্সি গায়েও দাপট দেখাবেন ২২ বছরের তরুণ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *