একরামুল নিহত হওয়ার অডিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, তদন্ত শুরু

নিউজ ডেস্ক:: টেকনাফের তিনবারের নির্বাচিত পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একরাম হত্যার কথোপকথনের অডিও ক্লিপ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে অডিওটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

রোববার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা জানান।

তিনি বলেন, অডিও ক্লিপটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, কোনো হত্যা বা দুর্ঘটনা আমাদের তদন্তের বাইরে নয়। সব হত্যার বিষয়ে তদন্ত হবে। যেখানে যেটা দরকার সেটা করা হবে এবং কমিটি গঠন করা হবে। কেউ নিহত হোক এটি আমাদের কাম্য নয়।

বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর আয়োজিত ‘দেশব্যাপী মাদকবিরোধী ফেস্টুন বিতরণ ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি’র উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হল- সবাইকে মাদকের ভয়াবহ অবস্থা থেকে সরিয়ে আনা। এ জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদকের লিস্ট বড় লম্বা। যতদিন মাদক নির্মূল না হয় ততদিন পর্যন্ত আমাদের অভিযান চলবে।

উল্লেখ্য, ২৬ মে রাতে টেকনাফের কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ সভাপতি একরামুল হকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের কথা জানায় র‌্যাব।

এ ঘটনার ৬ দিনের মাথায় নিহত একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম ও দুই কন্যা তাহিয়াত এবং নাহিয়ান কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন আসেন।

লিখিত বক্তব্যে আয়েশা বলেন, ২৬ মে রাতে একটি গোয়েন্দা সংস্থার মেজর পরিচয় দিয়ে একরামকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আমার স্বামী মোবাইলে আমার মেয়ে ও আমার সঙ্গে কথা বলেন। তখন তার কণ্ঠে আতঙ্ক ছিল। এর পর থেকে আমার মোবাইলটি সারাক্ষণ খোলা ছিল। এতে রেকর্ড হচ্ছিল। ওই দিন রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চিৎকার ও গুলির শব্দ শুনেই আমি ও আমার পরিবার আঁতকে উঠি। তখনই বুঝতে পারি আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে গুলি করে হত্যা করেছে র‌্যাব।

একরামকে ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ তুলে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছেন স্ত্রী আয়েশা বেগম। পাশাপাশি স্বামীর হত্যার সুবিচার প্রার্থনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কাছেও।

পরে সাংবাদিকদের কাছে চারটি অডিও ক্লিপ তুলে দেন আয়েশা বেগম। এই অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে একরাম হত্যা নিয়ে আরও বেশি প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে তার রাজনৈতিক সহকর্মী, পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধবসহ সর্বস্তরের মানুষ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *