পাকুন্দিয়ায় চাঁদাবাজি নিয়ে আ’লীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১২

নিউজ ডেস্ক:: আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া বাজার ও উপজেলা পরিষদ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ সময় ওসি ও পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অন্ততঃ ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ওসি আজহরুল ইসলাম সরকারসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন।

রোববার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে।

জানা গেছে, পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক এখলাস উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্রহ্মপুত্র নদের চরকাওনা-চরলক্ষ্মীয়া-চর তেরটেকি ও মির্জাপুর বালুমহালের ইজারদার চরকাওনা গ্রামের মো. তাহের কাজীর ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন জেলা প্রশাসক বরাবর চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন।

২৪ মে দায়েরকৃত এ অভিযোগে তিনি দাবি করেন, ওই ছাত্রলীগ নেতা এখলাস উদ্দিন ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে ২৩ মে থেকে তার বালুভর্তি ট্রাক্টর চলাচলে বাঁধা দেয় ও আঁটকিয়ে রাখে। এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ওসির কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। আর এ অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চিঠির মাধ্যমে পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।

এ ঘটনার পর থেকেই দুই পক্ষের লোকজন ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

এদিকে চাঁদা দাবির অভিযোগের প্রতিবাদে রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ এলাকায় মানববন্ধান ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করার প্রস্তুতি নেয় উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক এখলাস উদ্দিন সমর্থিত গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। খবর পেয়ে বালু মহালের ইজারাদার উপজেলা যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন, মুন্না ও পৌর যুবলীগের আহব্বায়ক নাজমুল হক সমর্থিত গ্রুপের নেতা-কমীরা কর্মসূচিতে হামলা চালায়।

এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও জড়িয়ে পড়ে এ সংঘর্ষে।

পাকুন্দিয়া থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার দাবি করেন, আধিপত্য বিস্তারের বিরোধের জেরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে তিনিসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকার কথাও জানান ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *