নিজস্ব প্রতিনিধি-শংকর-দত্ত:: সিলেট -সুনামগঞ্জ মহাসড়কের ১৭তম কিলোমিটারে (লামাকাজিতে) অবস্থিত রিয়াল এডমিরাল মাহবুব আলী খান সেতু ইজারায় ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের কতিপয় অসাধুচক্র ও তাদের অনুগত দরদাতা প্রতিষ্ঠান এসব দূর্নীতির সাথে জড়িত রয়েছে। ফলে প্রতিবছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা যায়, লামাকাজি সেতু ইজারায় অনিয়ম-দূর্নীতির ঘটনা নতুন কোন বিষয় নয়। সওজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় দীর্ঘদিনের চলে আসা অনিয়মের মধ্যে এবারেও ২য় এবং ৩য় দরপত্রে মাত্র ৭কোটি ৩২লাখ টাকায় টেন্ডার ভাগিয়ে নেয়ার অপচেষ্ঠা চালানো হয়। কিন্তু মেসার্স গোবিন্দগঞ্জ ট্রেডিং ৬ষ্ট দফায় অনুষ্টিত দরপত্রে অংশগ্রহণ করে এক সাথে ৫০% রাজস্ব বৃদ্ধি করে এমাদ ঢোল প্লাজা নামক প্রতিস্টানের সেতু ইজারায় সব অপকৌশল ভেস্তে যায়।
গোবিন্দগঞ্জ ট্রেডিং এমাদ টোল প্লাজা থেকে ৬৮লাখ ৮হাজার ৬শ’৬৭টাকা সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করলেও সওজ ও তাদের মনোনীত ইজারা গ্রহিতা সরকারের ৬৮লাখ ৮হাজার ৬শ’ ৬৭টাকা গচ্ছা দিয়ে এমাদ টোল প্লাজার নামে সেতু ইজারা দেয়ার অপচেষ্ঠা চালানো হচ্ছে।
যদিও মেসার্স গোবিন্দগঞ্জ ট্রেডিং কর্পোরেশন ইজারা মূল্যের শতকরা ১০% জামানত হারে পে-অর্ডারের মাধ্যমে (ভ্যাট ইমকাম ট্যাক্সসহ) ১কোটি ১৬লাখ ৭৮হাজার ৫শ’টাকা যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে জমা করা হয়। এতে তাদের ইজারা মূল্য ১৪কোটি ৪০লাখ ২হাজার টাকা হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সাথে ভাগ-বাটোয়ারা না হওয়ায় গোবিন্দগঞ্জ ট্রেডিংয়ের নামে চুড়ান্তভাবে সেতু বুঝিয়ে না দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ ট্রেডিং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও এমাদ টোল প্লাজার দর ছিল ১৩কোটি ৩৩লাখ ৩শ’ ৩৪ টাকা।
এতে নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেট, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, সড়ক সার্কেল সিলেটকে সর্বোচ্চ দরদাতার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রেরণ করছেন মর্মে গোবিন্দগঞ্জ ট্রেডিং অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়, মাননীয় সড়ক ও সেতুমন্ত্রী মহোদয়, চেয়ারম্যান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, চেয়ারম্যান দূর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারি সংস্থার কাছে ই-মেইল ও অন্যান্য মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।