নিউজ ডেস্ক:: নির্বাচনের আগে আগে বদলে যেতে পারে বিএনপির চলমান আন্দোলেনর ধরন। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির বদলে দাবি আদায়ের চেষ্টা করতে পারে রাজপথে শক্তি দেখিয়ে।
দলটির নেতারা জানিয়েছেন, তৃণমূলের ধারাবাহিক চাপের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন তারা। দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরাই মনে করেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ে মাঠে শক্তি প্রদর্শনের বিকল্প নেই।
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে শান্তিপূর্ণ বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি ৫ মহানগরে সমাবেশ করে বিএনপি। দাবি আদায়ে আরও শক্ত কর্মসূচি চান তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
মাঠ পর্যায়ের প্রত্যাশার কথা কেন্দ্রীয় নেতাদের জানিয়েছেন দায়িত্বশীল নেতারা। স্থায়ী কমিটির সঙ্গে সিনিয়র নেতাদের সবশেষ বৈঠকেও গুরুত্ব পায় তৃণমূলের মনোভাব।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালকদার দুলু বলেছেন, আন্দোলন সংগ্রাম ছাড়া চেয়ারপারসনকে মুক্ত করে আনা সম্ভব নয়। আমরা তৃণমূলের এই বার্তা দলের হাইকমান্ডের কাছে পৌঁছিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যতই জেলের ভয় দেখাক, আর যা-ই করুক না কেন কঠোর কর্মসূচি দিতে হবে। চলমান ধরনের আন্দোলনে ভালো ফলাফল আসবে না।
তৃলমূল থেকে খুব আলাদা নয় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপলব্ধি। এতদিন চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে শক্ত কোনো কর্মসূচিতে যায়নি দলটি। তবে দু-এক মাসের মধ্যে আন্দোলনের ধরন বদলে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন শীর্ষ নেতারা।
দলটির স্থায়ী কিমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আন্দোলন সংগ্রাম দিনক্ষণ দিয়ে ঠিক করে দেয়া যায়। জনগণ যখন মনে করবে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য কঠোর কর্মসূচি নিয়ে তারা মাঠে নামবে। এটা আসলে জনগণের ওপরই ছেড়ে দেয়া উচিত।
তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমানে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনেও সরকার নানা বাধা দিচ্ছে। গ্রেফতার চালাচ্ছে।
এসব নানা সীমাবদ্ধতা আছে বিএনপির। সরকারের পক্ষ থেকে দমনমূলক আচরণের কারণে নির্বাচন-আন্দোলন নিয়ে অনেকের মধ্যে ভিন্ন চিন্তাভাবনাও আছে। পাশাপাশি কঠোর আন্দোলনের সক্ষমতা দলটির কতটুকু আছে তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
তাছাড়া দলের র্শীষ দুই নেতার একজন কারাগারে অন্যজন দেশের বাইরে থাকায়, যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন ও সময় সাপেক্ষ দলটির জন্য।