সিলেটের কানাইঘাটে পাষান্ড চাচার ছোরার কোপে ভাতিজা শাহেল আহমদ খুন হয়েছে। সে উপজেলার সাতবাঁক ইউপির জুলাই পীরনগর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে। বুধবার রাত ৯টায় তাদের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায় প্রায় ৩ মাস পূর্বে তার বড় ভাই রাসেল আহমদ পাশর্বর্তী দলইমাটি গ্রামের শামসুদ্দিনের মেয়ে সুহাদা বেগমকে কোর্টে নিয়ে বিয়ে করেন।
এ বিয়ে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি তাদের চাচা কুতুব আলী, মরম আলী ও চাচাতো ভাইয়েরা। তাদের ভয়ে সে দীর্ঘ ৩মাস নব বধুকে নিয়ে বাড়ি ছাড়া ছিল। পরে তার নিহত ভাই সহ অপর ভাইদের সহযোগীতায় বুধবার বিকেল ৪টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ীতে আসে। এতে তাদের চাচা ও চাচাতো ভাইরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদেরকে মারপিট করেন।
ঐ সময় চাচা ও চাচাতো ভাইদের মারপিঠে নিহতের ছোট ভাই অহিদুর রহমান রাজন গুরুতর আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে অপর ভাইরা সন্ধ্যার দিকে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে আসেন। পরে সেখান থেকে তারা রাত প্রায় ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে চলে যান। এতে শাহেল আহমদ পুকুরে হাত পা ধুয়ে বসত ঘরে ঢুকতে না ঢুকতেই পূর্বে থেকে উৎপেতে থাকা চাচা কুতুব আলী দেশীয় ধারালো ছোরা দিয়ে কুপিয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে পালিয়ে যায়। তার চিৎকারে অপর ভাইরা পুকুর থেকে দৌড়ে এসে তাকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে সেখান থেকে থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে ময়না তদন্তে সিলেট ওসমানী হাসপাতলে প্রেরণ করেন। নিহতের বড় ভাই রাসেল আহমদ নির্বাক কন্ঠে জানান কী ছিল তাদের অপরাধ? যে এমন অপরাধে তাদের নির্দোষ ভাইকে বাচঁতে দেয়নি ঘাতকরা।
এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদ জানান ঘটনার সাথে সাথে এলাকা ছেড়ে ঘাতকরা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে। এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।