নিউজ ডেস্ক:: হবিগঞ্জ শহরে ইনাতাবাদ এলাকা থেকে পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পালিয়ে গেছে এক ইতালিয়ান প্রবাসীর স্ত্রী। এ ঘটনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেরসিক পুলিশ প্রেমিককে ধরতে না পারলেও প্রবাসীর স্ত্রী ও প্রেমিকের মা ও ভাইকে আটক করেছে। শুক্রবার বিকালে সদর থানার এসআই আব্দুল মুকিত চৌধূরীর নেতৃত্বে শায়েস্তাগঞ্জ পুরানবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। এ সময় প্রেমিক পালিয়ে গেছে।
সূত্র জানায়, ২ বছর আগে উমেদনগর গ্রামের বর্তমানে চিড়াকান্দি এলাকার নেহার মঞ্জিলের বাসিন্দা তাহির উদ্দিনের কন্যা সালমা আক্তার চাদনী (২০) কে বিয়ে দেয়া হয় শায়েস্তাগঞ্জ মহুল্লুল সুনামগ্রামের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী আবুল কালাম (২৫) এর সাথে। বিয়ের কিছুদিন পর আবুল কালাম ইতালি চলে যায়। এই সুযোগে চাদনী বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা শুরু করে। এক পর্যায়ে পরিচয় হয় চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র সাইফুর রহমান মান্না (২৫) এর। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
মান্না ইনাতাবাদ এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করত। কেউ না থাকার সুযোগে ওই বাসায় মান্না ও চাদনীর প্রেম চলতে থাকে। বিষয়টি আচঁ করতে পারে চাদনীর মা শাহানা আক্তার। চাদনীকে বাসা থেকে বাহিরে যাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু মোবাইল ফোনে ও ফেসবুকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যায়। একজন আরেকজনকে কাছে পেতে বিভোর হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা সিদ্ধান্ত নেয় পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার। কিন্তু বাধ সাধে প্রবাসী কালাম ও শাহানা।
গত ২৪ এপ্রিল চাদনী ও মান্না অজানার উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। খোজাখুজি করে তাদের কোন সন্ধান না পেয়ে নিরুপায় হয়ে চাদনীর মা শাহানার আক্তার সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এতে আসামী করে সাইফুর রহমান মান্না ও তার মা সহ কয়েকজনকে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও কললিস্টের সূত্র ধরে সদর থানার এসআই আব্দুল মুকিত চৌধুরী অভিযান চালিয়ে মান্নার মা ও অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র মান্নার ছোট ভাই আলামিন (২২) কে আটক করে। এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি ইয়াছিনুল হক জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। সমাধান হলে ছেড়ে দেয়া হবে।