নিউজ ডেস্ক:: ন্যূনতম মজুরি ঘোষণাসহ নানা দাবিতে মঙ্গলবার রাজপথে নেমেছেন শ্রমিকরা। রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, প্রেস ক্লাব, জিরো পয়েন্টসহ আশপাশের এলাকায় শ্রমিকদের পদচারণায় মুখর।
যাদের পেশির ঘাম নিংড়ানো শ্রমে এগিয়ে যায় সভ্যতার চাকা, তাদের অধিকার আদায়ের স্মৃতিময় উজ্জ্বল দিন পহেলা মে। মহান মে দিবস, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস।সরকারি ও বেসরকারিভাবে দিবসটি উদযাপনে রাজপথে নেমে এসেছেন শ্রমিকরা। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন করছেন তারা। এতে মে দিবসের তাৎপর্যের সঙ্গে শ্রমিকরা তাদের দাবি-দাওয়াও তুলে ধরছেন।
শ্রমিকদের হাতে লাল-পতাকা গায়ে লাল টি-শার্ট। কারো গায়ে টি-শার্টের রং সাদা। জিরো পয়েন্টের কাছে বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হক খান বাদল বলেন, ‘এখন ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নেই বললেই চলে। সরকারি বেতন ১০০ ভাগ বৃদ্ধি করা হয়েছে, কিন্তু শ্রমিকরা সেই আগের জায়গায়ই আছেন। সব শ্রেণির শ্রমিকরা আজ নিষ্পেষিত।’ পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার দাবিও জানান তিনি।পোশাক শ্রমিক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘জিনিসপত্রের দামের চেয়ে পোশাক শ্রমিকদের বেতন অনেক কম। পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা করতে হবে। এছাড়া রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এছাড়া বাসস্থানও তৈরি করতে হবে।’
জুতা কারখানার শ্রমিক আবদুস সালাম বলেন, ‘জুতা কারখানার শ্রমিকদের জন্য কোনো ন্যূনতম মজুরি নেই। আমরা অবিলম্বে ন্যূূনতম মজুরি বোর্ড গঠনের দাবি জানাই। এছাড়া জুতা শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টার বেশি কাজের জন্য ওভারটাইম দিতে হবে।’পোশাক কারখানায় কাজ করা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমাগো বেতন বাড়াইতে অইব। সরকারি অলাগো বেতন বাড়ে আমাগো তো বাড়ে নাই। আমরা ক্যামনে চলি, এইডা কি সরকার বোঝে না!’
এছাড়া মে দিবস পালনের অনুষ্ঠানে এসে বেতন-মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন, গ্রাম পুলিশ, হোটেল শ্রমিকসহ বিভিন্ন শিল্পের শ্রমিকরা।বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ঘিরে আওয়ামী লীগের শ্রমিক সংগঠনগুলো সভা-সমাবেশ করতে দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগঠনগুলোর কর্মীদের বাস-ট্রাকে করে আসতে দেখা গেছে। জিরো পয়েন্টে হচ্ছে জাসদের সমাবেশ।