মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে লাল পতাকা মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় আম্বরখানাস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামন থেকে মিছিল শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চৌহাট্টা পয়েন্টে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলার আহ্বায়ক আবু জাফরের সভাপতিত্বে ও চা শ্রমিক ফেডারেশনের উপদেষ্টা প্রণব জ্যোতি পালের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক ফ্রন্ট সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আহমদ, শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা মামুন বেপারী, ছাত্রফ্রন্ট নেতা সঞ্জয় শর্মা প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাসদ সিলেট জেলার সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন, ছাত্রফ্রন্ট মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল আমিন, ছাত্রনেতা অমৃত মোহন্ত, চা শ্রমিক ফেডারেশনের সংগঠক সুরিঞ্জত মুদি, সাগর দাস, নিপা মুদি প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে উন্নত হচ্ছে বলে শাসক শ্রেণী প্রতিদিন প্রচার করছে। কিন্তু উৎপাদনের প্রধান চালিশক্তি শ্রমজীবী মানুষ তাদের ন্যায্য মজুরি তথা অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫নং অনুচ্ছেদে নাগরিকদের যুক্তিসঙ্গত মজুরির বিনিময়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চিয়তার বিষয়টি অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে বলা হয়েছে। কিন্তু তা কার্যকর নয়। দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রা ব্যয়-বৃদ্ধির কারণে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, এমপিদের বেতন-ভাতা ২০১৫ সালে ১২২% বৃদ্ধি করা হয়েছে। দেশের সিংহভাগ শ্রমজীবী মানুষ তাদের মজুরি বাড়ানো হয়নি। বক্তারা বলেন, শাসক গোষ্ঠী প্রতিদিন গণতন্ত্র-আইনের শাসনের কথা বলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিল শ্রমিক আন্দোলনে পুলিশী হস্তক্ষেপ থাকবে না। কিন্তু আজকে শ্রমজীবী মানুষ তাদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে পুলিশ দিয়ে জোরপূর্বক দমন করা হচ্ছে। বক্তারা জাতীয় নূন্যতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা, চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩’শ টাকা ঘোষণার দাবী জানান।
বক্তারা বরিশালে রিক্সা শ্রমিকদের আন্দোলনে বাসদ জেলা সমন্বয়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবীব রুমন সহ আটক শ্রমিক নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবী জানান। – বিজ্ঞপ্তি