নিউজ ডেস্ক:: কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ভিসির বাসভবন ভাংচুরের ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রসহ চারজনকে রোববার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পরে বিকালে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন। রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
তারা হল- রাকিবুল হাসান ওরফে রাকিব (২৬), মাসুদ আলম ওরফে মাসুদ (২৫), আলী হোসেন শেখ ওরফে আলী (২৮) ও আবু সাইদ ফজলে রাব্বী ওরফে সিয়াম (২০)। তাদের কাছ থেকে ঘটনার সময় খোয়া যাওয়া দুটি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়। তবে গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ ঢাবি ছাত্র নয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের একটি দল চারজনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কেউ ঢাবি ছাত্র নয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে, তাদের মধ্যে শুধু মাসুদ ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। অন্য তিনজন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই ছাত্র নয়। এর মধ্যে রাকিবের নামে বরিশাল ও লক্ষ্মীপুরে পাঁচটি মামলা রয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, চার আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রায়হান উল ইসলাম আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন।
রাকিবের চার দিনের, আলীর তিন দিনের এবং মাসুদ ও সিয়ামের দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, রাকিব ও আলীর কাছ থেকে সিকিউরিটি গার্ডের খোয়া যাওয়া দুটি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটনে আসামিদের রিমান্ড নেয়া জরুরি।
উল্লেখ্য, কোটার আন্দোলন চলাকালে ৯ এপ্রিল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও মালামাল চুরির ঘটনা ঘটে। পরদিন ১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৯ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাতনামা অনেক মুখোশধারী সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃৃতকারী লোহার রড, পাইপ, হাতুড়ি, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির বাসভবনের বাউন্ডারি ওয়াল টপকে এবং ভবনের মূল ফটকের তালা ভেঙে প্রবেশ করে।
তারা বাসভবনের মূল্যবান জিনিসপত্র, আসবাবপত্র, ফ্রিজ, টিভি, লাইট, কমোড ও বেসিনসহ অনেক মালামাল ভাংচুর করে এবং মূল্যবান সম্পদ লুটতরাজ করে। এ ছাড়া ভবনে রক্ষিত দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয় এবং দুটি গাড়ি ভাংচুর করে। এ ছাড়াও ভবনে রক্ষিত সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে এবং সিসি ক্যামেরার ডিভিআর আগুনে পুড়িয়ে দেয়।