নিজস্ব প্রতিনিধি:: হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এসে মৌসুমী আক্তার নামে এক কিশোরীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নিতে বলে জুয়েল মিয়াসহ তার লোকজন। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই কিশোরীসহ তার পরিবার। রবিবার বিকেল ৩ টায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার গুলগাও গ্রামের আব্দুল হামিদ ফুল মিয়ার কিশোরী কন্যা মিরপুর আলিফ সোবহান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচ.এস.সি ১ম বর্ষের ছাত্রী মৌসুমী আক্তারকে প্রায় সময়ই উত্যক্ত করে আসছিল একই গ্রামের মৃত লুৎফুর রহমানের পুত্র জুয়েল মিয়া। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার উভয় পরিবারের লোকজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এ বিষয়ের জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে জুয়েল মিয়া, সুহেল মিয়া, সুজন মিয়া, ছায়া খাতুনসহ ৭/৮ জনের একটি সংঘবদ্ধদল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মৌসুমী আক্তারের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় মৌসুমী, তার বোন জেসমিন সুলতানা লিপি ও জামাতা জালাল উদ্দিন বাধা দিলে উল্লেখিতরা তাদের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা মৌসুমী কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।
খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার এসআই আতিকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মৌসুমীকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে মৌসুমীর পিতা আব্দুল হামিদ ফুল মিয়া বাদি হয়ে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং-জি আর-১২৭/১৮। পরে গতকাল রবিবার বিকেল ৩ টায় জুয়েল, সুহেল, সুজনসহ তাদের লোকজন সদর হাসপাতালে এসে প্রকাশ্যে মৌসুমীকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে বলে সাংবাদিকদের জানায় মৌসুমী ও তার পরিবারের লোকজন।
এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই কিশোরী ও তার পরিবার । এ বিষয়ে তারা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন।
এছাড়াও গত ১৫/০৪/২০১৮ইং তারিখে উল্লেখিতরা আব্দুল হামিদ ফুল মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার হাত ভেঙ্গে দেয়। ফলে তিনি বাদি হয়ে ১৭/০৪/২০১৮ইং তারিখে উল্লেখিতদের আসামী করে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর আসামীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।