সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি

নিউজ ডেস্ক:: সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই প্রতিনিয়ত খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের মূল লক্ষ্য বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগারে অসুস্থ রেখে নির্বাচনের বাইরে রাখা।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, সবাই তাকে (খালেদা) বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করার পরামর্শ দিয়েছেন। তার দুটি হাঁটু প্রতিস্থাপন করা আছে। এসব যন্ত্রপাতি ইউনাইটেড ও অ্যাপোলোতে আছে। তাই আমরা বারবার ইউনাইটেড হাসপাতালের কথা বলছি।

খালেদা জিয়াকে আটকে রাখতে সরকার নীল নকশা করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার কিছু হলে সব দায়দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে। দেশের মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আতাউর রহমান ঢালী, জয়নুল আবদীন ফারুক, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জারিমানা করে রায় ঘোষণা করেন আদালত।

রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। প্রথম শ্রেণীর কারাবন্দি হিসেবে বর্তমানে তিনি সেখানেই রয়েছেন।

কারাবন্দির পর থেকেই খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছেন বিএনপির নেতারা।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *