আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী চার্টার্ড উড়োজাহাজে বৃহস্পতিবার একটি সভায় যোগ দিতে দিল্লি থেকে কর্নাটকে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে আরও চার যাত্রী তার সঙ্গে ছিলেন।
কিন্তু অবতরণের সময় উড়োজাহাজটিতে বেশ কিছু গোলযোগ দেখা দিলেও প্রাণে বেঁচে যান রাহুলসহ তার সঙ্গীরা।
তবে এই গোলযোগে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে তদন্তের দাবি করা হয়েছে।-খবর এনডিটিভির।
দেশটির গণমাধ্যম জানায়, কর্নাটকের হুবলি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি বাঁদিকে ঝুঁকে পড়ে। বেশ কিছুক্ষণ পর সেটি অবতরণ করাতে পারেন পাইলট। আগামী মাসে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ায় একটি জনসভায় যোগ দিতে তিনি সেখানে যাচ্ছিলেন।
রাহুলের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা কৌশল বিদ্যার্থী। তিনি বলেন, হঠাৎ করেই উড়োজাহাজটি ‘সন্দেহজনক এবং উল্টাপাল্টা আচরণ’ করতে থাকে।
তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে- এটি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে করেনি তো? এই প্রশ্ন আপনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না, আপনাকে উত্তর দিতে হবে। এ জন্য তদন্ত প্রয়োজন।
স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২০ মিনিটে রাহুলকে বহনকারী চার্টার্ড উড়োজাহাজটি দিল্লি থেকে উড্ডয়ন করে। প্রায় পৌনে ১১টার দিকে সেটি হঠাৎ করেই একদিকে কাত হয়ে যায় বলে জানান কৌশল।
কৌশল বিদ্যার্থী বলেন, সেটি ভয়ঙ্কর রকমভাবে কাঁপতে কাঁপতে নিচের দিকে নামতে শুরু করে। যদিও বাইরের আকাশ একদম পরিষ্কার ছিল।
তিনি বলেন, উড়োজাহাজটির একদিক থেকে ক্রামগত ঠং ঠং আওয়াজ আসছিল। ৪০ মিনিটের অগ্নিপরীক্ষার পর পাইলট বিমানবন্দরে অবতরণ করতে সক্ষম হন।
পুরো সময়ে যাত্রীরা আতঙ্কিত ছিল এবং প্রাণ হারানোর ভয়ে ভীত হয়ে পড়লেও রাহুল মাথা ঠাণ্ডা রেখে শান্ত ছিলেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তিনি পাইলটদের পাশে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করেছেন।
এ ঘটনার পর সিভিল এভিয়েশন রেগুলেটরের পক্ষ থেকে কারণ ব্যাখ্যায় বলা হয়, উড়োজাহাজটি অটোপাইলট মুডে থাকা এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল।