আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে সম্মত হয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন। ২৭ এপ্রিল শুক্রবার সীমান্তে দুই দেশের প্রেসিডেন্টের ঐতিহাসিক বৈঠকের পর এক যৌথ ঘোষণায় এ কথা জানানো হয়। খবর বিবিসি।
পাশাপাশি প্রায় সাড়ে পাঁচ দশক আগে শেষ হওয়া কোরিয়া যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসানে চলতি বছরই শান্তি চুক্তি করার বিষয়েও একমত হয়েছেন তারা।
একটি নীল ব্রিজে বসে বৈঠকের পরই এক বিবৃতিতে দুই নেতার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে সম্মতির কথা জানানো হয়।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনকে বলেছেন, প্রতিবেশী এ দেশের মাটিতে পা রেখে হাঁটার সময় তিনি ‘আবেগাপ্লুত’ হয়ে পড়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে দুই কোরিয়ার ইতিহাসে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা হলো। এছাড়া দুই কোরিয়ার সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টি নিয়েও গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছেন দুই নেতা।
শুক্রবার সকালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী পানমুনজম গ্রামে পৌঁছালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান। এছাড়া দুই নেতা কোরিয়ার সীমান্ত হেঁটে অতিক্রম করার পর কিম জং উন বলেন, শান্তি ও সমৃদ্ধির একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলো।
দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী বেসামরিক অঞ্চল পানমুনজমে দুই নেতাকে হাস্যোজ্জ্বল মুখে পরস্পরের সঙ্গে করমর্দন করতে দেখা গেছে। এ সময় কিম ও মুন লাল গালিচার উপর দিয়ে হেঁটে যান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের তালে দুই নেতাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
শীর্ষ বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে তার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি ছিলেন তার বোন কিম ইয়ো জং ও ৯০ বছর বয়সী হেড অব স্টেট কিম ইয়ং না।
উল্লেখ্য, দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী পানমুনজম গ্রামটি দক্ষিণ কোরিয়ার সীমানার মধ্যে পড়েছে। ১৯৫৩ সালে দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক করার স্থান হিসেবে এই গ্রামটিকে নির্ধারণ করা হয়। ওই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গত ৬৫ বছরে উত্তর কোরিয়ার কোনো শীর্ষ নেতা দক্ষিণ কোরিয়ায় পা রাখেননি।