নিউজ ডেস্ক:: সিলেটে কাজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে গৃহকর্তার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত গৃহকর্তা সোহেল মিয়া লাপাত্তা। তাকে খুঁজছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে চলছে তোলপাড়।
গত শনিবার নগরীর কোতোয়ালি থানায় ধর্ষিত কিশোরীর বোন তানজিমা বেগম বাদী হয়ে এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার একমাত্র আসামি নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডে কলাপাড়ার ডহর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সোহেল মিয়া। মামলার বাদী তানজিমা বেগমের বাড়ি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায়।
মামলার এজহারে তানজিমা বেগম অভিযোগ করেন, তিন বছর আগে গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থেকে ১২ বছর বয়সী ছোট বোনকে সিলেটের ডহর এলাকার বাসিন্দা সোহেল মিয়ার বাসায় কাজের জন্য দেয়া হয়।
বছর দুয়েক পর আমার ছোট বোনকে যৌন হয়রানি করতে থাকে সোহেল মিয়া। এসব কথা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়া হয়। গত ১৪ এপ্রিল রাত ১টার দিকে ছোট বোনের কক্ষে প্রবেশ করে মুখ চেপে ধরে সোহেল মিয়া একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরদিন আমার বাসায় গিয়ে ধর্ষণের কথা জানায় ছোট বোন।
তিনি জানান, ঘটনার পর তানজিমা তার স্বামী ও ভাইসহ সোহেল মিয়ার বাসায় গিয়ে এ ঘটনার বিচার চাইলে উল্টো তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ওদিনই ধর্ষিতা কিশোরীকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। পরে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন তানজিমা বেগম।
তানজিমা বলেন, শুধু একদিন নয় এ ঘটনার আগেও আমার বোনকে ধর্ষণ করেছিল সোহেল মিয়া। ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আমার বোনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই ব্যবস্থাপত্রে প্রমাণ রয়েছে আমার বোনের স্বামীর নাম সোহেল মিয়া। ঠিকানা দেয়া হয়েছে তাহিরপুরের।
তানজিমার ভাষ্য, হাসপাতালে ভর্তি করার আগে আমার বোনকে ধর্ষণ করা হয়। ওই সময় আমার কিশোরী বোন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সবার অগোচরে সুনামগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে ধর্ষক সোহেল সিজার করিয়ে একটি মৃত সন্তান প্রসব করান। তখন ঘটনাটি আমরা জানতাম না। দ্বিতীয় দফায় যখন আমার বোন ধর্ষণের শিকার হয় তখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে এই ঘটনা ধরা পড়ে।
এরপর আমার বোন সব ঘটনা খুলে বলে। এবারের ধর্ষণের ঘটনায় যে মামলা করেছি সেটির সূত্র ধরে পুলিশ তদন্তে নামলে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেও জানান তানজিমা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত সোহেল মিয়াকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। মামলা দায়ের হওয়ার পর আসামি গা ঢাকা দেয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অভিযান অব্যাহত আছে।