নওগাঁয় ‘ঝাড়ফুঁকের’ অজুহাতে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ

নিউজ  ডেস্ক:: নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় স্থানীয় এক কবিরাজের বিরুদ্ধে ‘ঝাড়ফুঁকের’ অজুহাতে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলা সদরের লিচুবাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ওই কবিরাজের নাম আইজুল হক মুফতি (৫০)। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মহাদেবপুর থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন ওই কবিরাজ।থানা-পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর ধরে ওই ব্যক্তি নিজেকে কবিরাজ হিসেবে প্রচার করে লিচুবাগান এলাকার একটি বাড়িতে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।

তাঁর গ্রামের বাড়ি উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামে। গতকাল বিকেলে পত্নীতলা উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়নের এক গৃহবধূ ওই কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন। ‘জিন তাড়ানোর’ নামে গোপনে ‘ঝাড়ফুঁক’ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধূকে বাড়ির ভেতর নিয়ে গিয়ে ওই কবিরাজ ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেন গৃহবধূ। তিনি প্রথমে স্বামীকে ঘটনাটি জানান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় উত্তেজিত লোকজন কবিরাজের বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। কিন্তু কবিরাজ কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, তাঁর স্ত্রী বেশ কিছু দিন ধরে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন।

বিভিন্ন চিকিৎসা করেও সুস্থ না হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের পরামর্শে গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে কবিরাজ আইজুল মুফতির বাড়িতে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে যান তিনি। কবিরাজকে সমস্যার কথা বললে তাঁর স্ত্রীকে জিনে ধরেছে বলে তিনি জানান। ‘জিন তাড়াতে’ নির্জনে ‘ঝাড়ফুঁক’ দিতে হবে বলে কবিরাজ তাঁকে বাড়ির বাইরে বসতে বলে তাঁর স্ত্রীকে বাড়ির ভেতরে ডেকে নেন। কবিরাজের বাড়ি থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে আরও অস্বাভাবিক ও অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পান তিনি। পরে তাঁর স্ত্রী তাঁকে জানান, কবিরাজ তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গৃহবধূকে আজ মঙ্গলবার সকালে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকেই কবিরাজ পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *