বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য ও জামালগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক ধর্মপাশা উপজেলার কাকিয়াম গ্রামের মোহাম্মদ আবু তৌহিদ জুয়েলকে ২০১৭ সালের ১লা ডিসেম্বর নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে গতকাল সোমবার (২৩ এপ্রিল) সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পেশাজীবী ও সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে শুরুতে পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন নিহত জুয়েলের বড় ভাই প্রভাষক মো. সুয়েবুর রহমান সুয়েব।
মদন মোহন কলেজের ছাত্র জুনেদ আহমদ, অলক দাস ও এসকে ফুয়াদের যৌথ পরিচালনায় সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় অনুষদের প্রধান ড. তোফায়েল আহমদ, বাংলাদেশ কলেজ-শিক্ষক সমিতি সিলেট মহানগরের সভাপতি আব্দুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শমসের আলী, সিলেট জেলা বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক দিদার ইবনে তাহের লস্কর, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রোমেন, জামালগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জামালগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য মো. মিসবাহ উদ্দিন, শিক্ষক নেতা অধ্যাপক আহমদ হোসেন, অধ্যাপক রঞ্জিত মোহন্ত, প্রভাষক জামাল আহমদ, প্রভাষক আবুল কাশেম, প্রভাষক তাহের আলী পীর, ডা. শফিকুল আলম তালুকদার, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি অরিন্দম দত্ত চন্দন।
এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন দেলওয়ার হোসেন, প্রভাষক যিশুতোষ দাস তালুকদার, কামরুজ্জামান রুম্মান, রোটা. সারওয়ার হোসেন, সুলতান মাহমুদ, গোলাম কিবরিয়া, আমিনুল ইসলাম, বরকত আলী রাজু, সাফওয়ান, জুবেল আহমদ, নাঈম হোসেন, তারেক আহমদ, ফারহান তানভীর উজ্জল, রহিমুল হক চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, সুলেমান বাশার, মাহমুদুল হক মাসুম, রাকিব আহমদ, জান্নাত জামিল, ধ্র“ব রায়, সৈয়দ জাফরুল, সৈয়দ রেদওয়ান, হালিমা সাদিয়া, তুলি, রিয়া, আয়শা, সাফা, ফারহাত, নীলিমা, আফ্রিদি, আমান, সিদ্দিক, হিমু, জুজলান, সায়েম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা প্রভাষক আবু তৌহিদ জুয়েলের খুনীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানিয়ে বলেন, হত্যাকান্ডের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়নি। বরং অভিযোগ রয়েছে খুনীদের কয়েকজনকে জনতা আটক করলেও সংশ্লিষ্ট থানার ওসি, আইও তথা প্রশাসন কোন ধরণের কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছেনা। এছাড়া প্রশাসনের ছত্রছায়ায় খুনীরা অবাধে ঘুরাফেরা করার কারনে নিহতের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অনতিবিলম্বে খুনীদেরকে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার আইনে ফাঁসি কার্যকরে জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশ প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের জোর দাবি জানিয়ে বলা হয়, অন্যথায় সাধারণ ছাত্রজনতাকে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।