সিলেটে সুয়ারেজ সিস্টেম চালু করতে (আইডব্লিউএম) এর সাথে সিসিকের চুক্তি

নিউজ ডেস্ক :: সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সুয়ারেজ সিস্টেম (পয়ঃনিষ্কাশন) চালু করতে ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) এর সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের হলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম)’র পক্ষে আইডব্লিউএম’র নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ড. এম মনোয়ার হোসেন।

আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, আইডব্লিউএম’র সাথে প্রাথমিক এই চুক্তির মাধ্যমে নগরীর সুয়ারেজ সিস্টেম চালুর সুচনা হলো মাত্র। তিনি জানান, আইডব্লিউএম আগামী ২২ মাসের মধ্যে সিলেট নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের সুয়ারেজ সিস্টেমের একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরী করবে। এরপর সিটি কর্পোরেশন তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করবে।

মেয়র জানান, ‘সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সুয়ারেজ ব্যবস্থা না থাকায় প্রধান নদী সুরমা ক্রমাগত দূষিত হয়ে উঠছে। নদীর আশপাশে গড়ে ওঠা কলকারখানার বর্জ্য যেমন অপরিকল্পিতভাবে সুরমায় পড়ছে, তেমনি কয়েক লাখ নগরবাসীর পয়ঃবর্জ্য নদীটিকে দূষিত করছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশন এই চুক্তির মাধ্যমে সুয়ারেজ সিস্টেম চালুর প্রক্রিয়া শুরু করলো।’ এই চুক্তি বাস্তবায়ন হওয়ার পর নগরবাসী উপকৃত হবেন ।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘সুয়ারেজ সিস্টেম না থাকায় সুরমা নদী দূষিত হচ্ছে। সুয়ারেজ সিস্টেম চালু করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তবুও নগরীতে সুয়ারেজ চালু করার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হবে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক এ কাজে এগিয়ে আসবে, জাইকার কাছেও এ বিষয়ে অর্থায়নের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তারা অবশ্যই এগিয়ে আসবে উল্লেখ করে নূর আজিজুর রহমান বলেন, এ জন্য নগরীর প্রত্যেক নাগরিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সকলের সহযোগিতা পেলে শীঘ্রই সিলেট নগরীকে সুয়ারেজের আওতায় আনা যাবে বলে জানান তিনি।’

আইডব্লিউএম’র নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ড. এম মনোয়ার হোসেন জানান, আমাদের দেশে জায়গা কম মানুষ বেশি, তাই বহুতল ভবন নির্মাণ করা ছাড়া কোন উপায় নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে সকল নতুন ভবনে নিজস্ব সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট রাখতে হবে। উন্নত বিশ্বে এটা প্রচলিত, ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে প্রক্রিয়াজাত করে সেই পানিটা গার্ডেনিংয়ে ব্যবহার করা হয়। তিনি জানান, ভবন বা বাড়ি তৈরির সময় সেপটিক ট্যাংকের সঙ্গে সুয়ারেজ লাইনের সংযোগও দেয়া টিক নয়।’

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও সিসিকের সচিব বদরুল হক, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রুহুল আমীন, আব্দুল আজিজ, শামছুল হক পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন। আইডব্লিউএম এর পক্ষে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পরিচালক মাহবুবুর রহমান, তন্ময় চাকমাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *