নিউজ ডেস্ক:: লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে ওয়েস্টমিনস্টারের দ্বিতীয় কুইন এলিজাবেথ কনফারেন্স সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
সেখানে বিক্ষোভ করছিলেন যুক্তরাজ্য শাখা বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ওই বিক্ষোভ থেকে উপমন্ত্রী জয়ের ওপর হামলা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তাঁর এই সফরের বিরুদ্ধে প্রতিদিন বিক্ষোভ করছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা- কর্মীরা।
গতকাল স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে তিনটা থেকে দ্বিতীয় কুইন এলিজাবেথ কনফারেন্স সেন্টারে সরকারপ্রধানদের বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কনফারেন্স সেন্টারের বাইরে বিক্ষোভ করছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পাশেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন যুক্তরাজ্য শাখা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেন, উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় বিএনপির বিক্ষোভের পাশ দিয়ে হেঁটে সম্মেলন স্থলের দিকে যাচ্ছি লেন। এ সময় বিএনপির বিক্ষোভ থেকে তাঁর উদ্দেশে কটু মন্তব্য করা হয়। একপর্যায়ে উপমন্ত্রীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন কয়েকজন। এ সময় আরিফ খান দৌড়ে গিয়ে পাশের বারক্লেস ব্যাংকের সামনে গিয়ে আশ্রয় খোঁজেন। হামলাকারীরাও তাঁর পিছু নেন। পরে বিএনপির কিছু নেতা–কর্মী তাঁকে রক্ষা করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, বারক্লেস ব্যাংকের সামনে উপমন্ত্রীকে ঘিরে রেখে হামলা থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী। তাঁরা হামলাকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে হামলাকারীরা উপমন্ত্রীকে উদ্দেশে কটু মন্তব্য করেন। একজন দূর থেকে তাঁর দিকে পানি ছুড়ে মারেন। এর মধ্যে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক হামলার ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভ করার সময় আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের কাছে আসেন না। তিনি (আরিফ খান জয়) কেন আসলেন, আমরা বুঝলাম না।’
এম এ মালেক বলেন, তাঁরা উপমন্ত্রীকে রক্ষা না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো। এ ঘটনায় মারুফ ও বাপ্পি নামে দুজনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে বিএনপি যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তার নিন্দা জানানোর ভাষা খুঁজে পাওয়া কঠিন। তারা আবারও প্রমাণ করল, প্রচলিত রাজনীতির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা কেবলই সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সমস্ত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী রাজনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের গণমানুষের কোনো সম্পর্ক নেই।’