নিউজ ডেস্ক:: কোটা সংস্কার অান্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. অাক্তারুজ্জামানের কাছে বিভিন্ন বিভাগের ১৯ জন শিক্ষক খোলা চিঠি দিয়েছেন।
বুধবার (১৮ এপ্রিল) তারা উপাচার্যের দপ্তরে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চিঠি দিয়ে অাসেন।
এ সময় উপাচার্য শিক্ষকদের উদ্বেগকে বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে অাশ্বস্ত করেন।
খোলা চিঠিতে বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা আসার পর আন্দোলন একটি পর্যায় পেরিয়েছে এবং এর পরবর্তী পদক্ষেপ হওয়া উচিত সরকারি গেজেট প্রকাশ। কিন্তু নানান সূত্রে জানা যাচ্ছে তার পূর্বেই আন্দোলনকারীদের ওপর নানান চাপ আসছে এবং অান্দোলনে নেতৃত্বদানকারীরা প্রাণনাশের আশঙ্কায় ভুগছেন। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়-ভীতি ও উদ্বেগ বিরাজ করছে এবং অান্দোলনকারীদের অনেকে হলে থাকতে অস্বস্তি বোধ করছেন।
এই ভীতি সুফিয়া কামাল হলে সবচেয়ে বেশি বিরাজ করছে। কারণ গতকাল রাতে ছাত্রলীগ নেত্রী এশা’র বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে ঢাবি প্রশাসন।
বিশেষত অান্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া তিন শিক্ষার্থীকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে চাপা উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে এবং অস্বস্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
একই সাথে শিক্ষকরা তাদের চিঠিতে উপাচার্যের বাসভবনে হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের অাওতায় অানার দাবি জানান। গত ৮ই এপ্রিল শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের বর্বর হামলার নিন্দা জানায়। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান অক্ষুন্ন রাখার দাবি জানায়।
তারা চিঠিতে বলেন,‘অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়া পাঁচটি মামলা, এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট নিয়ে অাইসিটি অাইনে মামলা, অান্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের ডিবি পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার ইত্যাদির মাধ্যমে ভীতির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। তারা এই পরিবেশ দূর করে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানান।
হলে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাব কমিয়ে শিক্ষক অথবা নিরপেক্ষ হল সংসদ গঠন করার পরামর্শ দেন। এরই সাথে ডাকসু সচল করার জন্য তারা বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
খোলা চিঠিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকরা হলেন; এম এম আকাশ, গীতি আরা নাসরীন, ফাহমিদুল হক, মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, সামিনা লুৎফা, মোহাম্মদ আজম, মোশাহিদা সুলতানা, কাজী মারুফুল ইসলাম, রোবায়েত ফেরদৌস, সায়মা আহমেদ, মুনাসির কামাল, সাজ্জাদ এইচ সিদ্দিকী, রুশাদ ফরিদী, মো. সেলিম হোসেন, হুমায়ুন কবীর, আব্দুর রাজ্জাক খান, সালমা চৌধুরী, দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন ও অতনু রাব্বানি।