বাংলাদেশ নারীমুক্তি সংসদ সিলেট জেলার উদ্যোগে ১৮ এপ্রিল বুধবার বিকেল ৪টায় নগরীর কোর্ট পয়েন্টে দেশব্যাপি ধর্ষণ, খুন ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে মানবন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সিলেট জেলার সভাপতি ইন্দ্রানী সেন শম্পার সভাপতিত্বে ও সদস্য উত্তরা সেন পম্পা পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশব্যাপি ধর্ষণ, হত্যা ও নারী নির্যাতন ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে। মামলা পরিচালনার দীর্ঘসূত্রিতা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি ধর্ষণে এক শ্রেণির বিকৃত মানসিকতাকে উস্কে দিচ্ছে। বর্তমান সরকার নারী ক্ষমতায়তনে যথেষ্ট উদ্যোগ নিলেও ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে না। ফলে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে উঠছে না। যেখানে বাংলাদেশের প্রায় ৫২% নারী সেখানে এখনই ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মোকাবেলা করতে না পারলে তা আরো ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হবে। বক্তারা তাই ধর্ষণের প্রতিবাদে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান।
বক্তারা আরো বলেন, প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারের ফলে পর্ণগ্রাফি মানুষের হাতের মুঠোয় থাকায় পুরুষদের মধ্যে এক প্রকারের অসুস্থ্য মানসিকতার চরম বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ধর্ষণ। যা থেকে বাদ যাচ্ছে না শিশু, নারী, বৃদ্ধ সহ সকল মানুষ। বক্তারা ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় যথাযথ তদন্ত ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড করে দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার সম্পন্ন করার আহবান জানান।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড সিকান্দর আলী, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড দ্বীনবন্ধু পাল, নারী মুক্তি সংসদ সিলেট জেলা সহ সভাপতি সাবিত্রী সেন, নারী নেত্রী আকলিমা আক্তার, হালিমা খাতুন, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী সিলেট মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুলাহ খোকন, বাসদ শ্রমিক ফ্রন্টের সদস্য মামুন বেপারী, ছাত্র মৈত্রী সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা চৌধুরী, ছাত্রনেতা সিদ্দিকুর রহমান বিলাল, নারী মুক্তি কেন্দ্র সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক ইশরাত রাহী, সংস্কৃতি কর্মী আয়েশা রুনা, উত্তম কাব্য, রুপন রুপু, ডাঃ জেসমিন আক্তার, সারথী উরাও, আফিয়া বেগম প্রমুখ।