অর্থনীতি ডেস্ক:: আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের বাজেট ঘাটতি ৫০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজি সিপিডির প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশ কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধি থেকে বের হয়ে আয়হীন কর্মসংস্থানের পথে হাঁটছে, কারণ দেশের এক তৃতীয়াংশ যুবক এখনও বেকার থেকে যাচ্ছে।
দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, মুদ্রানীতিতে ঋণ প্রবৃদ্ধির হার ধরা হলো ১৬.৫ শতাংশ। কিন্তু বিতরণ হয়েছে ১৮ শতাংশের বেশি। অথচ বেসরকারি বিনিয়োগ স্থবির অবস্থায় রয়েছে। তাহলে টাকা গেল কোথায়? ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ না বাড়ায় আয়হীন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।
মুদ্রানীতি ঘোষণার কিছুদিন পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নগদ জমার হার- সিআরআর কমানোর বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজের ঘোষিত মুদ্রানীতি আপনিই যদি না মানেন, তার অর্থ হচ্ছে আপনি বিকলাঙ্গ ব্যাংকিং ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছেন।
রোহিঙ্গাদের পেছনে আগামী অর্থবছরে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হতে পাবে- সে সম্পর্কেও অনুষ্ঠানে তথ্য দেয় সিপিডি।
সংস্থাটি বলছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পেছনে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারের ব্যয় হবে ১০০ কোটি ডলার।