নিউজ ডেস্ক:: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় এক রিকসাচালক সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। শত অভাবের মাঝেও তিনি তার সততা দেখাতে ভুলেননি। তার এই ঘটনাটি বর্তমানে টক অব দ্যা শ্রীপুরে পরিণত হয়েছে। যারই সঙ্গে তার দেখা হচ্ছে সবাই বাহবা জানিয়ে তার প্রশংসা করছেন।
ঘটনাটি হলো, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মাওনা চৌরাস্তার শ্রীপুর রোডের মায়ের দোয়া টাইলস নামের এক দোকানের সামনে থেকে এক লাখ টাকা কুড়িয়ে পান ফিরোজ মিয়া (৩৭)। রাতে সেই টাকা পুলিশের মাধ্যমে প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।এসময় হারিয়ে যাওয়া টাকা ফেরত পেয়ে মালিক ওই রিকসাচালককে খুশি হয়ে ১৫ হাজার টাকা উপহার দিয়েছেন। রিকশাচালক ফিরোজ মিয়া নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার মইপুকুরিয়া গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।
তিনি শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া গ্রামের আব্দুল গফুরের বাড়িতে ভাড়া থেকে কেওয়া-মাওনা সড়কে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।
ফিরোজ মিয়া জানান, বেলা ১১টার দিকে মাওনা চৌরাস্তার শ্রীপুর রোডের মায়ের দোয়া টাইলস নামের এক দোকানের সামনের সড়কে এক লাখ টাকা কুড়িয়ে পান তিনি। পরে সেই টাকা তিনি ওই দোকানের মালিক মজিবর রহমানের হাতে তুলে দেন, যাতে প্রকৃত মালিক খুঁজে পেতে পারেন। কিন্তু বিকেল হয়ে গেলেও প্রকৃত মালিকের সন্ধান না পাওয়ায় বিষয়টি তিনি শ্রীপুর থানার পুলিশকে জানান।
টাকার মালিক বৈরাগীরচালা গ্রামের মান্নান শিকদার জানান, সকালে তার ভাতিজা মারফত টাকা জমা দেয়ার উদ্দেশ্যে ব্যাংকে পাঠালে তার পকেট থেকে এক লাখ টাকা হারিয়ে যায়। পরে তিনি থানায় যোগাযোগ করেন। রাতে তার টাকার সন্ধান পাওয়া যায়। এসময় রিকশাচালকের সততার জন্য তিনি তাকে খুশি হয়ে ১৫ হাজার টাকা উপহার দেন।
শ্রীপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) হেলাল উদ্দিন বলেন, টাকাগুলো পাওয়ার পর সন্ধ্যায় অবহিতকারী আব্দুল মান্নান শিকদারকে ডেকে থানায় আনা হয়। পরে যাচাই বাছাই করে আব্দুল মান্নান শিকদারকে প্রকৃত মালিক হিসেবে চিহ্নিত করে টাকাগুলো তার হাতে তুলে দেয়া হয়। এসময় মান্নান শিকদার পুরস্কার হিসেবে ফিরোজ মিয়ার হাতে ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন।