আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: রোহিঙ্গাদের জোর করে তাড়ানোয় মিয়ানমারকে বিচারের আওতায় আনার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আছে কি না জানতে চেয়েছেন হেগের ওই আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ফাতোও বেনসোউদা। ৯ এপ্রিল সোমবার ওই আদালতে করা একটি আবেদনে এই বিষয়ে রুল চেয়েছেন বেনসোউদা।
আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, জোর করে কোনো দেশের বাসিন্দাদের আন্তর্জাতিক সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া এক ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার রোহিঙ্গা নিধনকে জাতিগত নিধনের উদাহরণ বলেছেন। মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত বিষয়টিতে গণহত্যার সব চিহ্ন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। এই বিষয়গুলোও উল্লেখ করা হয়েছে বেনসোউদার আবেদনে।
যদিও বিষয়টিকে আদালতের আওতায় আনার ক্ষেত্রে একটি বাধা রয়েছে উল্লেখ করে বেনসোউদা তার আবেদনে বলেন, ‘কিন্তু এখানে আদালতের আওতায় আনা নিয়ে কিছুটা দ্বিধা রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ এই আদালতের সদস্য, কিন্তু মিয়ানমার সদস্য নয়।
তারপরও আদালত এই বিষয়টিকে আওতাভুক্ত হিসেবে বিবেচনা করতে পারে, যেহেতু আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করে অপরাধটি ঘটছে এবং আদালতের সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড তার শিকার হচ্ছে।’
গতবছরের আগস্টে মিয়ানমার সামরিক অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করলে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা দেশের সীমানা পেড়িয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। এদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক উদ্যোগে অগ্রগতি দাবি করছে। বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আওতায় পড়লে কৌঁসুলির দফতর তদন্ত করে অভিযোগ আনতে পারবে।