আর তিনদিন পরই পহেলা বৈশাখ। বাঙালির এতিহ্যবাহী এই উৎসব পালনে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। গতকাল সোমবার নগরীর ধোপাদিঘীরপার রংপেন্সিল একাডেমীতে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থী আর শিক্ষকরা মিলে বৈশাখ বরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বিকালে রংপেন্সিল একাডেমীতে গিয়ে দেখা যায়, কেউ হাতির পা তৈরী করছেন। বিশাল হাতি বানাতে এবং সাজাতে ব্যবহার করা হয়েছে বাশ-বেতের। পরে কাগজ দিয়ে সেটি মুড়িয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক ডালা, কোলা, মাথাল, পালকি, ঘোড়ার গাড়ি, লাঙ্গল-জোয়াল, পলো, কলসি, পাখি, ফেস্টুন, পাখা ইত্যাদি তৈরীর কাজ করতেও দেখা যায় অনেককে।
একজন শিক্ষাথীর্কে জিজ্ঞাসা করতেই সে জানাল বৈশাখ বরণের জন্য এসব করছেন। ১০ বছরের শিশু পল্লব জানায়, গত কয়েকদিন ধরেই তারা একাজ করছে। সে জানায় এটি একটি আনন্দের ব্যপার। অমরা সবাই মিলে একদিন হাসি-খুশী করব। শম্পা বৈদ্য জানান, তিনি দোয়েল পাখি বানাতে সহযোগিতা করছেন। জাতীয় এ পাখি স্থান পাবে তাদের মঙ্গল শোভাযাত্রায়।
শিক্ষাথীরা প্রত্যেকেই জানান শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন সব কাজ। পহেলা বৈশাখ সকালে নগরীর ধোপাদিঘীরপার একাডেমীর সামনে থেকে বের হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ওই দিন প্রদর্শিত হবে তাদের বানানো বৈশাখের অনুসঙ্গ। টানা তিনদিন চলবে তাদের অনুষ্ঠানমালা। বৈশাখের প্রথম দিন সকাল ১০ টায় মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হবে উৎসবের। এছাড়া ১৬, ১৭ ও ১৮ এপ্রিল চিত্র প্রদর্শনী। সমাপণী দিনে পুরষ্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে এ্ চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
এ ব্যাপারে একাডেমীর পরিচালক পিংকু বৈদ্য জানান, রংপেন্সিল একাডেমী সব সময় ব্যতিক্রম চিন্তা করে। এটি তাদের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই ধারাবাহিকতা থাকবে সব সময়। তিনি জানান, একাডেমীতে যে কারুকাজ তৈরী করা হয়েছে সেগুলো সবই তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাথী ও নিজে মিলে তৈরী করেছেন। বাঙ্গালির ইতিহাস, ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ থাকবে তাদের তাদের অনুষ্ঠানমালায়।