মন্ত্রী ও পুলিশের আশ্বাসেই থেমে আছে তদন্ত

নিউজ ডেক্স:: তরুণ প্রকৌশলী কাজী সান বিন হোসেন সানি হত্যার চার বছর পার হলেও গ্রেফতার হয়নি খুনি। ধানমণ্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে।

ঘাতক চিহ্নিত হলেও গ্রেফতার করছেন না মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরিবারের অভিযোগ, আসামির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে তাকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ।

আর মন্ত্রী ও পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাদের আশ্বাসেই থেমে আছে তদন্ত।

সানির বাবা ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী শওকত হোসেন বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দু’জন খুনিকে দু’বছর আগে চিহ্নিত করা হয়।

খুনিদের ছবি, ঠিকানাও আমাকে দেখিয়েছিলেন। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করারও আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আজও খুনিদের গ্রেফতার করা হয়নি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, খুনিরা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেছে। আর এজন্যই আসামিদের গ্রেফতারে গড়িমসি করছে পুলিশ।

তিনি বলেন, খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ায় পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। ২০১৪ সালের ৮ এপ্রিল কলাবাগান থানাধীন ধানমণ্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে মোটরসাইকেলে বসা অবস্থায় সন্ত্রাসীরা কাজী সান বিন হোসেন সানিকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দ্রুত ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করে পরিবার।

এ হত্যা মামলায় আসামি ড. নাজিম ও তার গাড়িচালক আসাদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে যায়।

পরিবারের অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক দীপক সাহা যুগান্তরকে বলেন, আসামি শনাক্ত হয়েছে।

কিন্তু তাদের ট্রেস পাওয়া যাচ্ছে না। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, আসামি গ্রেফতারে একটা লাইনে এগোচ্ছিলাম। কিন্তু ট্রেস না পেয়ে এখন ভিন্ন লাইনে চেষ্টা করছি। আর এজন্যই মামলাটি আমি ছেড়ে দেইনি।

সূত্র জানায়, সানির বাবা ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী শওকত হোসেন ছেলে হত্যার বিচারের দাবিতে ক্ষমতায় থাকা নিজ দলের এমপি-মন্ত্রীদের কাছে ছোটাছুটি করছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশ পদস্থ কর্মকর্তারা তাকে আশ্বস্ত করলেও চার বছরেও গ্রেফতার হয়নি খুনিরা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় মামলার অগ্রগতি ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও গত এক বছরে পুলিশও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।

সানির বাবা কাজী শওকত হোসেন জানান, আমার ছেলে কোনো অপরাধ করেনি। খালার বাসায় সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে এমন সংবাদে সেখানে ছুটে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয় সে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *