আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই পাকিস্তানের সোয়াতে নিজ বাড়িতে ফেরার পর প্রতিটি মুহূর্তে তাকে আবেগ তাড়া করছে।
পাকিস্তানের জনগণের বড় অংশই তার এই ফিরে আসায় আনন্দিত। কিন্তু তার বিপক্ষেও মিছিল হয়েছে লাহোরে।
প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর মালালা বাবা-মাসহ জন্মভূমি পাকিস্তানে ফেরেন। ২০১২ সালে তিনি পাকিস্তান ছেড়েছিলেন তালেবান জঙ্গিদের গুলিতে মারাত্মক আহত হয়ে।
স্কুলবাসে তার ওপর সেই হামলা হয়েছিল নারীদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য।
শনিবার দুই ভাই এবং বাবা-মাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে যখন প্রবেশ করেন, তখন সেখানে তাদের কান্নাভেজা চোখ অন্যরকম এক পরিবেশ তৈরি করেছিল।
মালালা কয়েক দিন ধরে নিজের জন্মভূমিতে যেখানেই কথা বলছেন, সেখানেই ছিল তার আবেগ জড়িত কণ্ঠ। তিনি তুলে ধরছেন দেশে স্থায়ীভাবে ফিরে আসার স্বপ্নের কথা।
ইসলামাবাদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে মালালার বক্তব্য সরাসরি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়েছে।
মালালার নিজ বাড়ি যে প্রদেশে, সেখানে এখনও জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। ফলে মালালা পাকিস্তানে এলেও নিজের বাড়িতে যেতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে শঙ্কা ছিল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
তবে কঠোর নিরাপত্তায় সব শঙ্কা দূর করে মালালা শেষ পর্যন্ত গিয়েছিলেন নিজ বাড়িতে।
সেখানে আত্মীয়স্বজন এবং স্কুলের সহপাঠীরা তাকে অভ্যর্থনা জানান।
মালালাও আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেছেন, তিনি চোখ বন্ধ করে নিজ জন্মভূমি ছেড়েছিলেন। আর আজ চোখ খুলে ফিরে এসেছেন।
মালালা শিশুদের শিক্ষা এবং অধিকার নিয়ে বিশ্বজুড়ে কথা বলছেন। তিনি নারী শিক্ষার জন্য মালালা ফান্ড গঠন করেছেন।
পাকিস্তানের মানুষ কীভাবে গ্রহণ করছে মালালাকে?
দেশটির জনগণের বড় অংশই মালালাকে সমর্থন করছেন। তারা মালালার ফিরে আসায় আনন্দ প্রকাশ করছেন।
তবে একটা অংশের মধ্যে মালালার সমালোচনা রয়েছে। তারা মনে করে, মালালা পশ্চিমাদের দোসর নিয়ে কাজ করছেন।
পাকিস্তানের লাহোরে কয়েকটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা মালালার ফেরার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। তারা ‘আমি মালালা নই’ বলেও স্লোগান দেন।
এ ধরনের সমালোচনায় মালালা ইউসুফজাই আশ্চর্য হয়েছেন। তিনি বলেন, কেন তার বিপক্ষে কথা বলা হচ্ছে, সেটি তিনি বুঝতে পারছেন না।