গত দুদিনের কালবৈশাখি ঝড়ের কারণে বিদ্যুতের তার ছিড়ে যাওয়া এবং বেশ কিছু বৈদ্যুতিক পুল উপড়ে যাওয়ায় বিশ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় ছিলেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দারা।
তবে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জোনাল অফিসের কর্মকর্তাদের প্রচেষ্ঠায় কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, লোকবল সংকট এবং লাইন বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিলম্বিত হচ্ছে।
এদিকে বিদ্যুতের দাবিতে উপজেলার রাণাপিং, ফুলবাড়ী ইউপিসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। উপজেলার ফুলবাড়ী ইউপিতে গত ৪দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় স্থানীয়রা বার বার বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেও বিদ্যুৎ প্রদান না করে নানা টালবাহানা করছে।
এদিকে ফুলবাড়ী ইউপির হেতিমগঞ্জ বাজার, কায়স্থগ্রাম, লরিফর, শুকনা গ্রামসহ ৫/৭টি গ্রামে ৪দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় এসব এলাকার বাড়ি ঘরের পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকার মানুষজন। এতে করে ফুলবাড়ী ইউপির সর্বস্তরের জনতা ক্ষোদ্ধ হয়ে রোববার ২টার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের হেতিমগঞ্জ চৌমুহনীর অদুরে মালুমের দোকানের সামনে রাস্তায় বাস ফেলে ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে প্রায় অর্ধঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
পরে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ ও বিদ্যুৎ অফিসের কর্তৃপক্ষ তড়িৎ বিদ্যুৎ প্রদানের আস্বসে—র প্রেক্ষিতে স্থানীয়রা ব্যরিকেট তুলে নেন। এ সময় সিলেট-জকিগঞ্জ মহাসড়কের দু’দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কবলে পড়েন যাত্রীবৃন্দ।
এ ব্যপারে গোলাপগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিবেদককে জানান, উপজেলার উপর দিয়ে বড় ধরণের ধমকা হাওয়া ভয়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের তার লন্ডভন্ড ও বিদ্যুতের খুঁটি (পুল) উপড়ে যাওয়ায় উপজেলাবাসী বিদ্যুৎ বিড়ম্বনার স্বীকার হন। তবে উপজেলা সদরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিদ্যুৎ প্রদান করা হয়েছে এবং জনবল সংকট থাকায় পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ প্রদান করতে বিলম্ব হয়েছে।