আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবাসমেত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯ সদস্যরা। রোববার রাতে নগরীর সুবিদবাজার এক্সেল টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি শর্টগান, ৭ রাউন্ড কার্তুজ, ২০০ পিস ইয়াবা ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃতদের সোমবার (২৬ মার্চ) সিলেট মহানগর কোতোয়ালি থানা পুলিশ অস্ত্র ও মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আবদুর রশীদ রাসেল শাবি ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও গোলাপগঞ্জের মধ্য কানিশাইল গ্রামের আবছর আলীর ছেলে । তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারী। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ও শাহপরাণ হলের আবাসিক ছাত্র। । এছাড়া, সুনামগঞ্জ দোয়ারা বাজারের আফসর গ্রামের ফয়জুন্নুরের ছেলে আজমল হোসাইন (২৪)ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র। রাসেল ও আজমলের হাতে রবিবার শাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান ছুরিকাহত হয়।
গ্রেফতার অন্যরা হচ্ছে- ওসমানীনগরের থানাগাঁও দয়ামিরের সৈয়দ মইনুর রহমানের ছেলে সৈয়দ নাইমুর রহমান (২৫)। সে বর্তমানে সিলেট নগরের সুবিদবাজারের মুগলিটুলা রোড়ের নূরানী ১৭/১ নং বাসায় থাকে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার আলিপুর দেওনদি গ্রামের শেখ মোহাম্মদ বাবলার ছেলে শেখ মোহাম্মদ সুলতান মির্জা (২৭)ও রয়েছে।
সিলেট র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মনিরুজ্জামান জানান, গত রবিবার (২৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের আবাসিক ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে শাবি শাখা ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রশীদ রাসেল। এছাড়া সৈয়দ নাইমুর রহমান ও শেখ মোহাম্মদ সুলতান মির্জা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে।
তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব এক্সেল টাওয়ারের নীচ তলা থেকে প্রথমে শেখ মোহাম্মদ সুলতান মির্জাকে ২০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তাকে সঙ্গে নিয়ে টাওয়ারের ৪র্থ ও ৫ম তলায় অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, ৭ রাউন্ড কার্তুজ এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতদের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।