স্কুল ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় অফিস সহকারী আটক

নিউজ ডেক্স:: মাধবপুর উপজেলা সদরের আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীকে আটক করেছেন শিক্ষকরা। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয় অফিস সহকারী দেবাশীষকে।

জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী দেবাশীষ দাস শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে বিদ্যালয়ের বাথরুমে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। এ সময় বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে তাকে আটক করে। পরে অফিস সহকারী দেবাশীষ দাসের কাছ থেকে লিখিত রেখে এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি রেখে বিদ্যালয়ে থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়।

ঘটনাটি আড়াল করতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমানকে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক নিজেই সব কিছু চুপি সারে সেরে ফেলেন। বিকেল ৩টায় বিদ্যালয়ের প্রধান গেইট লাগানো। ভিতরে গার্ড বসা। সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তিনি গেইট খুলতে নারাজ। গার্ড অনিল দাস জানান, বিদ্যালয়ের ভিতরে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পাড়ে সে ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শাহীন মিয়া নিষেধ করেছেন। পরে প্রধান শিক্ষকের অনুমতি সাপেক্ষে ভিতরে গেলে দেখা যায় প্রধান শিক্ষক সকল শিক্ষকদরে নিয়ে মিটিংয়ে ব্যস্ত। এ সময় অফিস সহকালী দেবাশীষকে বিদ্যালয়ে দেখা যায়নি। দেবাশীষ কোথায় আছেন সেটাও প্রধান শিক্ষক বলতে নারাজ।

বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জনান, দেবাশীষকে দুপুর ১২টার সময় বিদ্যালয়ের বাথরুমে ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায়। তারপর তাকে ধরে এনে তার কাছ থেকে লিখিত রাখা হয় এবং তার মোটরসাইকেলটি রেখে বিদ্যালয় থেকে দেবাশীষকে বাহির করে দেয়া হয়।

দেবাশীষ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। গত কয়েক মাস আগে বিদ্যালয়ের পোষ্টার লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ছাত্র আহত হয়। এ সময় ওই ছাত্রের সাথে পোষ্টার লাগানোর দায়িত্বে ছিল। ছাত্র বিদ্যুৎপৃষ্টের ঘটনায় তার উপর দায় চাপানো হয়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক শাহিন মিয়া তাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে বলেন। এ টাকা এখানো সে পরিশোধ করেনি। শনিবার দুপুরে সে তার এক ছাত্রীর সঙ্গে বিদ্যালয়ের এক পাশে দাড়িয়ে কথা বলার সময় অন্য শিক্ষকরা তাকে আটক করে। পরে তার কাছ থেকে লিখিত রেখে ও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রেখে দিয়ে বিদায় করে দেয়।

এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। অনেক অভিভাবক জানান, এভাবে একটি স্কুল চলতে পারেনা। কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা এখানে স্পষ্ট। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহীন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এগুলো সত্য নয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোকলেছুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো আমার জানা নেই। খবর নিয়ে বিষয়টি দেখছি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *