কাকাতো ভাইদের প্রতি পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ করলেন ছড়াকার অজিত রায় ভজন (ভুপতি রঞ্জন রায়)। বর্তমানে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকলেও উল্লেখিত সম্পত্তি নির্বিঘ্নে ভোগদখল করে বিক্রী করার পায়তারা চলছে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, সদর বহর মৌজার জেএল নং ৬১ দাগের ভুমি অজিত রায় ভজনের পিতা নরেন্দ্র কুমার রায় এবং মুকুল চন্দ্র রায়ের পিতা মনিন্দ্র মোহর রায়ের নামে ক্রয়কৃত, যা ৫৬ এর এসএ রেকর্ডে উল্লেখিত।
নরেন্দ্র কুমার রায় পুত্র অজিত রায় ভজন, গল্পকার নিখিল রায় পূজন সহ সকল ভাইয়েরা নগরীর রায়নগরে দীর্ঘদিন থেকে অবস্থান করার সুযোগে মনিন্দ্র মোহর রায়ের পুত্র মুকুল চন্দ্র গং সম্পত্তি এককভাবে দাবি করে ভোগ দখলের প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় কাকাতো ভাই মুকুল চন্দ্র রায় গং বাদি হয়ে ২০০৫ সালে একটি স্বত্ব মামলা দায়ের করেণ। মামলা নং ১৪২/২০০৭। পরবর্তীতে ৫৩৮৫/১৫ ৩০ ধারার আপিল শুনানীতেও রায় বিবাদী পক্ষের নরেন্দ্র কুমার রায়ের পুত্র অজিত রায় ভজনদের পক্ষে ঘোষণা হলে বাদী পক্ষ ৩১ ধারায় আবারো আপীল করেন। আপীল চলাকালীন প্রতিটি হাজিরায় বিবাদীপক্ষ যথারীতি আদালতে উপস্থিত থাকলেও বাদীপক্ষ আদালতে উপস্থিত থাকেনি বলে অভিযোগ ভজন গংদের।
তিনি বলেন, প্রতিটি হাজিরায় নোটিশ প্রেরণ/ অবগত করা হলেও ১১/০৭/২০১৭ তারিখের হাজিরায় সহকারি স্যাটেলমেন্ট অফিসার গিয়াস উদ্দিন কর্তৃক তাদের অবগত/ নোটিশ করা হয়নি। ফলে বিবাদি পক্ষের অনুপস্থিতিতে এক তরফাভাবে শুনানী অনুষ্টিত হয়। তিনি এই ঘটনাকে সন্দেহজনক এবং বাদীপক্ষের সাথে পূর্ব পরিকল্পিত বলে উল্লেখ করে মাননীয় আদালতের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে সহকারি স্যাটেলমেন্ট অফিসার গিয়াস উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, “কেউ আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ করলে কিচ্ছু করার নেই। আইনগত দিক যথারীতি অনুসরণ করে চলার পর রায় কারো বিরুদ্ধে চলে গেলে তার দায় আমার নয়”।