আর কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে চাই না : রওশন এরশাদ

নিউজ ডেস্ক:: সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় সংসদের পার্টির কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেছেন, আমরা আর কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হবো না। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমরা ক্ষমতায় যাব এবং জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করব।

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টি আয়োজিত সমাবেশে একথা বলেন তিনি।

সমাবেশে রওশন এরশাদ বলেন, এই মহাসমাবেশ দেখে আপনাদের কী মনে হচ্ছে বলেন? আমরা শক্তিশালী একটি দল। জাতীয় পার্টির ইতিহাস উন্নয়নের ইতিহাস। জাতীয় পার্টির ইতিহাস জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের ইতিহাস। আমাদের ইতিহাস দলীয়করণ, চাঁদাবাজির ইতিহাস নয়।

স্বামী হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শাসনামলের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সেই সময়ে তিনি গ্রামবাংলার এত উন্নয়ন করেছিলেন- যা এখন বলে শেষ করা যাবে না। তিনি বলেছিলেন গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জায়গায় পরিবর্তন এনেছিলেন। নগর উন্নয়নের জন্যও অনেক কাজ করেছেন। প্রশাসনকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে গিয়েছেলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীন করে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার স্বাদ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ জনগণকে বুঝিয়েছেন।

তিনি বলেন, এখন আমাদেরকে বুঝতে হবে জনগণ কী চায়। জনগণ পরিবর্তন চায়। শান্তি চায়। উন্নয়ন চায়। তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন চায়। আমাদের দেশে এখনও সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান নেই। তারা এখনও আয়-রোজগারের পথ খুঁজে পায়নি। সেটা একমাত্র দিতে পারে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকার সময় দেশের মানুষ অনেক খুশি ছিল। জনগণ এখন সেই শান্তি ফিরে চায়। এখন আমরা মনে করি- আজকের এই সমাবেশ দেখে, জাতীয় পার্টির শক্তি দেখে- মনে হচ্ছে আগামীতে আমরা আর কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হবো না। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমরা ক্ষমতায় যাব এবং জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করব। আসুন আমরা সেই প্রতিশ্রুতি করি- সবাই মিলে জনগণের উন্নয়নে কাজ করব।

এরপর তিনি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ‘চল চল চল’ আবৃতি করে শোনান। এরপর তিনি সুরে সুরে গেয়ে ওঠেন ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ব মোরা, নতুন করে আজ শপথ নিলাম।’ এমনকি মঞ্চে থাকা সবাইকে গানটি তার সঙ্গে গাওয়ার জন্য ইশারা করেন। এরপর জাতীয় পার্টির মহাসচিব রহুল আমীন হাওলাদারসহ অনেকে তার সঙ্গে গানটি গান।

উল্লেখ্য, বিগত সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংসদীয় আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নেয় দলটি। দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি এই নির্বাচন বর্জন করে। জাতীয় পার্টি সংসদের বিরোধী দল হিসেবে থাকলেও তাদের ভূমিকা নিয়ে সবসময়ই প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *