সড়ক ও জনপথের (সওজ) বাধা-বিপত্তি অগ্রাহ্য করে বে-আইনীভাবে পাবলিক টয়লেট নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। সৃষ্টি করছে জনদুর্ভোগ, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে একটি ফিলিং ষ্টেশন। শুধুমাত্র চার লেনের রাস্তা ও ড্রেন নির্মানের জন্য সওজ-এর অনুমতি নেয় সিলেট সিটি কবর্পোরেশন। আর এ সুযোগে সওজ’র লিজ দেয়া ভূমিতে পাবলিক টয়লেট নির্মানের চেষ্টা করছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। এতে করে এলাকার জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বরে প্রথমে পাবলিক টয়লেট নির্মানের উদ্যোগ নেয় সিলেট সিটি কর্পোরেশন। অজ্ঞাতকারণে পরে স্থান বদলে মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে নির্মানের পরিকল্পনা নেয় সিসিক কর্তৃপক্ষ। সিসিক কর্তৃপক্ষ যে স্থানটিতে পাবলিক টয়লেট নির্মানের চেষ্টা করছে সেটি সওজ-এর লীজ দেয়া ভূমি।
মেসার্স ওরিয়েন্টেল অটো ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস এন্ড ট্রান্সপোর্ট তথা ফিলিং স্টেশনের সামনের জায়গায় যানবাহন প্রবেশের জন্য সড়ক ও জনপদের কাছ থেকে লীজ নেয় ফিলিং ষ্টেশন। সমপ্রতি সড়ক ও জনপথের লীজ নেয়া ভূমিতে পাবলিক টয়লেট নির্মান করতে বাঁধা দিয়েছে সওজ কর্তৃপক্ষ। সওজ-সিলেট এর নির্বাহী প্রকৌশলী গত ২৩ জানুয়ারি তার কর্যালয়ের ৩৬২ নং স্মারকে সওজ’র লীজ দেয়া ভূমিতে পাবলিক টয়লেট নির্মানে বাধা দেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রেরিত এ স্মারকপত্রে বলা হয় ফিলিং ষ্টেশনের সামনের রাস্তা সওজ-এর লীজ দেয়া ভূমি। সওজ-এর ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১৫ এর আওতায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অনুমতি ছাড়া কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কোন ধরনের স্থাপনা নির্মানের বিধান নেই। কিন্তু সিলেট সিটি কর্পোরেশন এ বাধা ও নীতিমালা লংঘন করে জোরপূর্বক পাবলিক টয়লেট নির্মানের উদ্যোগ নেয়ায় সিটি কর্তৃপক্ষের কাজের আইনী বৈধতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে পৌণে ৬টায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকে ফোন রিসিভ করেন নি।