নিউজ ডেক্স:: চুনারুঘাটে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ভিডিও প্রকাশ করার অভিযোগে ২ যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। বুধবার বিকেলে অভিযুক্ত ওই ২ যুবককে স্থানীয় আমুরোড বাজার থেকে আটক করে চুনারুঘাট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
ধর্ষণের বিষয়ে গত ২০মার্চ চুনারুঘাট থানায় ধর্ষিতা কিশোরী ৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। কিশোরীর বাড়ি আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের কালিশিরি গ্রামে। তার পিতার নাম মোঃ ফরিদ মিয়া। কিশোরী জানায়, গত ১৮’ই মার্চ নিজ বাড়ি কালিশিরি থেকে আমুরোড বাজার আসার পথে সুন্দরপুর গ্রামে পৌঁছলে মামলার আসামী এই গ্রামের আঃ গোফারের পুত্র শফিকুল ইসলামসহ অপরাপর আসামীরা তাকে জোর পূর্বক সাতছড়ি জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে তারা সবাই মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং ওই ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে। সেই ভিডিও চিত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করে এবং বিভিন্ন মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়।
সাতছড়ি থেকে ধর্ষিতা ওই কিশোরী আহত অবস্থায় বাড়িতে এসে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। বিকেলেই স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি তাদেরকে দ্রুত চুনারুঘাট থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে এসআই কাসী অভিযোগ আমলে নিয়ে সুন্দরপুর গ্রামের আব্দুল গোফারের পুত্র সফিকুল ইসলাম (১৮), গোছাপাড়া গ্রামের মৃত কিম্মত আলীর পুত্র নাইম মিয়া (১৭), কালামন্ডল গ্রামের আরজু মিয়ার পুত্র সাইফুল ইসলাম (১৮) ও হাড়াজোড়া গ্রামের তাহির মিয়ার পুত্র সুজন (১৬) কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এদিকে ধর্ষকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিওটি প্রচার করেও প্রকাশ্যে হাট-বাজারে ঘুরাফেরা করতে থাকে। ভিডিওটি স্থানীয় চেয়ারম্যানের নজরে আসলে ইউপি সদস্য দুলাল ভূইঁয়া ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে তাদের আটক করেন পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সহিত আমলে নিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।