চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেন বাড়ছে মানুষের রোগ-ব্যাধি। প্রতিদিনই নতুন নতুন রোগের সঙ্গে পরিচয় হচ্ছে মানুষের। বাড়ছে শারীরিক জটিলতাও। মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হার্ট। বাংলায় যেটাকে বলা হয় হৃদযন্ত্র। এই হৃদপিণ্ডটি যতক্ষণ সচল আছে ততক্ষণ মানুষ সুস্থ থাকে। কিন্তু হৃদযন্ত্রের সমস্যা হলেই যত বিপদ।
তাই সমসময় চেষ্টা করুন হৃদপিন্ডকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখতে। আজকালকার দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া বা হৃৎযন্ত্রের সমস্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গিয়েছে। তার কারণ যেমন জীবনধারা, দুশ্চিন্তা, উত্তেজনা তেমনই হৃদযন্ত্রের সমস্যার লক্ষণগুলি এড়িয়ে যাওয়া।
হার্টের অসুখের সমস্যায় যে শুধু বয়স্করাই ভোগেন তা নয়। এখন হার্ট সমস্যা অল্প বয়সে ভালোই বিপজ্জনক। হার্টের সমস্যা আজকাল বয়সের হিসাব করে আসছে না। মাঝরাতে হঠাৎ বুকে ব্যথা। অস্বস্তিবোধ হলেই মনে হয় আপনার হৃদযন্ত্রে কিছু সমস্যা আছে। হার্টের অসুখ জীবনযাপনের উল্টোপাল্টা নিয়মের কারণে হতে পারে, সেটা অনেকেই বোঝেন না।
তাই স্ট্রেস-টেনশন, লেট নাইট করা, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, এক্সারসাইজের অভাব ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন। এসব বদভ্যাস প্রভাব ফেলে আপনার হার্টে। হার্টের সমস্যায় চিকিৎসা যেমন জরুরি, তেমনি প্রয়োজন সঠিক লাইফ স্টাইল মেনে চলা। আর এই দুয়ের কম্বিনেশন হলেই কম বয়সে হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
কম বয়সে হার্টের সমস্যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো বদলে যাওয়া কাজের ধরন, কাজের জায়গাছ অত্যধিক ট্রেস আর টেনশন, অনিয়মিত ফুড হ্যাবিটস ইত্যাদি। তাই হার্টের সমস্যার সমাধানে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন জরুরি। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ওজন বাড়ার ফলে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল সমস্যা দেখা যায়। আর ডায়াবেটিস থাকলে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলোও বোঝা যায় না।
হাঁটা, হালকা জগিং, সাঁতার কাটা ইত্যাদি খুব ভালো এক্সারসাইজ। সেটাই করবেন। নিয়মিত করার চেষ্টা করুন। এর সঙ্গে ধূমপান, অ্যালকোহল পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে। হাইড্রোডিনেটেড অয়েল এড়িয়ে চলুন। এতে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। এটি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। শাক-সবজি ও ফল বেশি করে খান। অলিভ অয়েলে রান্না করলে ভালো হয়। অতএব সুস্থ রাখুন হার্ট। ভালোবাসার পূর্ণতায় লাইফস্টাইলে নিয়ম মেনে চলে জীবনে সুসময় কাটান।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, ২০৫০ সাল নাগাদ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেও হার্টের রোগী এত বাড়বে যে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনের হার্টের সমস্যা থাকবে। সুতরাং সবাই সচেতন হোন এবং হার্টের অসুখ থেকে নিজেকে দূরে নিরাপদে রাখুন।