নিউজ ডেক্স:: বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অবহেলায় গর্ভবতী এক মহিলার মৃত্যু ও প্রতিবাদ করায় স্বামীকে পুলিশে সোপর্দ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, বুধবার বিকেল ৫ টায় পৌরসভার আহমদপুর এলাকার ফারুকুল ইসলাম গর্ভবতী স্ত্রী হালিমা বেগমকে ডেলিভারীর জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ফারুকুল ইসলাম অভিযোগ করেন প্রায় আধঘন্টা জরুরী বিভাগে অপেক্ষা করেও কোন ডাক্তার পাননি। বিনা চিকিৎসায় তার স্ত্রী মারা যান। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শারমিন সুলতানা একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে প্র্যাকটিস করছিলেন। স্টাফ নার্সের কল পেয়ে তিনি হাসপাতালে আসেন। কিন্তু এর আগেই রোগির মৃত্যু ঘটে। স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী ফারুকুল ইসলাম চিকিৎসকের চরম অবহেলার প্রতিবাদ করেন।
এ নিয়ে ডা. শারমিন সুলতানা, স্টাফ নার্স স্মৃতি রানীসহ হাসপাতালের লোকজন চরম অসদাচরণ করে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন। আধঘন্টা থানা কাস্টডিতে থাকার পর তিনি মুক্তি পান।
এ ব্যাপারে ডা. শারমিন সুলতানা জানান, রোগির উচ্চ ব্লাড প্রেসার ছিল। সিএনজি থেকে নামার সময় তিনি প্রচুর ঘামছিলেন। বেডে নেয়ার পর অক্সিজেন দেয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা শুরুর আগেই তিনি মারা যান। এতে তার স্বামী ডাক্তারদের উপর চড়াও হন। মারাত্মক দুর্ব্যবহার করেন। নিরাপত্তা জনিত কারণে ওসি সাহেবকে কল করেন। মারমুখি আচরণের কারণে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।