শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক:: প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এমসিকিউ (বহুনির্বাচনী প্রশ্ন) বাতিল করা হচ্ছে। শিশুদের এ পাবলিক পরীক্ষায় এমসিকিউয়ের বদলে ছোট-বড় প্রশ্ন করা হবে। ফলে শতভাগ লিখিত প্রশ্নের আলোকে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশজুড়ে পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের হিড়িক পড়েছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় ১২টি প্রশ্নই পরীক্ষা শুরু আগে ফাঁস হয়। এমনকি প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর প্রশ্নও ফাঁস হয়। আর এসব ফাঁস হওয়া প্রশ্নের মধ্যে প্রায় সবই এমসিকিউ। তাই আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষায়ই শতভাগ লিখিত প্রশ্নের আলোকে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।এছাড়া শিক্ষানীতি অনুযায়ী শতভাগ সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা আয়োজন, প্রশ্ন বিতরণের সময় প্রশ্নপত্র যাতে ফাঁস না হয় সে কারণে সফটওয়ারের মাধ্যমে আট দিনের মধ্যে প্রশ্ন বিতরণ (আগে ২৫ দিন সময় প্রয়োজন ছিল), ছয় সেট প্রশ্নপত্রের বদলে আট সেট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সূত্র জানায়, প্রাথমিকের ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষার মধ্যে বাংলায় ১০ নম্বর, ইংরেজিতে ২০ নম্বর, গণিতে ২৪ নম্বর, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ৫০, প্রাথমিক বিজ্ঞানে ৫০ ও ধর্মবিষয়ে ৫০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন হতো। নতুন নির্দেশনার আলোকে এমসিকিউ বাদ দিয়ে ওসব জায়গায় রচনামূলক ছোট-বড় প্রশ্ন সংযুক্ত করা হবে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, পাবলিক পরীক্ষায় ইতোমধ্যে যতগুলো প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে প্রায় সবগুলোই এমসিকিউ প্রশ্ন। সেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা পঞ্চম শ্রেণির সব পরীক্ষায় এমসিকিউ প্রশ্ন তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, এমসিকিউ প্রশ্ন বাতিল করে তার সমমান নম্বরের জন্য ছোট-বড় লিখিত প্রশ্ন যুক্ত করা হবে। ইতোমধ্যে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিকে (নেপ) নতুন ফরমেটে প্রশ্ন তৈরির জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা আগামী বছরের প্রশ্ন তৈরির কাজ শুরু করেছে। নেপ থেকে প্রশ্ন পাওয়ার পর সেটি মূল্যায়ন করে তা চূড়ান্ত করা হবে। এমসিকিউ তুলে দেয়া হলে আগামী নভেম্বরে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষায় শতভাগ লিখিত প্রশ্নের আলোকে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।