জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে জগন্নাথপুর-ব্রিটিশ বাংলা এডুকেশন ট্রাস্টের ১৮ তম বৃত্তি বিতরণী অনুষ্ঠান গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন, যারা বাঙ্গালি হয়ে যুক্তরাজ্যে বসে বাংলার বুকে চুরি মারছে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের একাত্তরের মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশের আলো-বাতাশে বড় হয়ে মাছ ভাত খেয়ে যারা দেশের বিরুদ্ধে লড়ছে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসে জড়াচ্ছে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করছে তাদের দেখে যুক্তরাজ্যে জন্ম নেওয়া বাঙ্গালি নতুন প্রজন্মরা বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ হারাবে। প্রবাসিদের উচিত যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশ বিরোধীদের প্রতিরোধ করে তাদের সন্তানদের দেশে প্রতি মমত্ববোধ সৃষ্টি করা।
ট্রাস্টের সভাপতি আশিক চৌধুরীর সভাপতিত্বে, ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মহিব চৌধুরী, ট্রাস্টি মুুজিবুর রহমান মুজিব ও হাসনাত আহমদ চুনুর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার( অতিরিক্ত সচিব) ড. মোছা: নাজমানারা খানুম, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শফিউল আলম, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও রাজনীতিবিদ সিদ্দিক আহমদ, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আতাউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ।
জগন্নাথপুরের রসুলগঞ্জ জামেয়া কুরআনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার মাঠে গতকাল দুপুরে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ¦ এম এ আহাদ, সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ মিয়া, ট্রাস্টি হরমুজ মিয়া ও নুুরুল হক লালা মিয়া, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু মিয়া, অধ্যক্ষ মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান কামালী, ট্রাস্টের ট্রাস্টি গোলাম মর্তুজা, ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল এম হোসেন, ট্রেজারার আলফাজুর রহমান জাকির, পল্লী বিদ্যুতের পরিচালক আশিকুর রহমান, অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ মোহাম্মদ মানিক, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র ও ট্রাস্ট থেকে এককালিন বৃত্তিপ্রাপ্ত আমির হোসেন, ট্রাস্টি মুজিবুর রহমান, বিতর্ক বিকাশ প্রতিযোগিতায় দেশ সেরা প্রতিযোগি শরিফা জাহান ও শিক্ষার্থী আমিনা বেগম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এম মান্নান আরো বলেন, আমরা একহাজার বছর গোলামি করেছি। মুরর্খতা ও অজ্ঞতায় অন্ধকারি ছিলাম। বন্ধবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে সেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসেছি। বঙ্গবন্ধু আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলেছেন, বাঙ্গালি যদি ঐক্যবদ্ধ না হতে পারে তাহলে গোলামি থেকে বের হতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলা গড়তে চেষ্টা করেছিলেন কুচক্রিমহল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সেই স্বপ্নকে হত্যা করেছে। এখন তাঁর কন্যার নেতৃত্বে জাতি এগুচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্ধকারকে দূরিবিত করতে প্রধান অস্ত্র শিক্ষাকে বেছে নিয়েছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন জ্ঞানবিজ্ঞানে শিক্ষা অর্জন করতে হবে। আগামী দিনে বাংলা হবে বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিক বাংলাদেশ। আধুনিক মানে বিহায়াপনা নয়। নৈতিক ও মানবিক গুনসম্পন্ন মানুষ হতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড.নাজমানারা খানুম বলেন, সরকার শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব করা হচ্ছে। নতুন নতুন ভবন নির্মান করা হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য বিশেষ বাজেট রয়েছে। সিলেট-সুনামগঞ্জ টিলা ও হাওর এলাকা হওয়ায় শিক্ষাক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে আছে। সরকার সিলেটের শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারীভাবে শিক্ষার জন্য যারা এগিয়ে আসবেন আমরা তাদের সাথে রয়েছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় আমরা আমাদের প্রিয় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি এস আই আজাদ আলী। অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানকে ট্রাস্টের সম্মানিত ট্রাস্টি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের ট্রাস্টিদের মধ্যে আলহাজ¦ ইলিয়াস, আব্দাল মিয়া, এখলাছুর রহমান, আব্দুস শহিদ, আব্দুল নুর, আব্দুল মছব্বির দুলু, আব্দুশ শহিদ, এলাইছ মিয়া মতিন, এস আর কোরেশী, মোতাহার হোসেন তারা মিয়া, এ বশির কয়েস, আহবাব হোসেন, ফারুক মিয়া, সেলিম রহমান, আনোয়ার আলী, আব্দুল হক জমির, আনহার মিয়া, বকুল আব্দুল সবুর, ফয়জুর রহমান, মোত্তালিব চৌধুরী, ড. সানাওয়ার চৌধুরী, আব্দুল হাশিম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল বাছিত কয়েস। -বিজ্ঞপ্তি