খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশ পিছিয়ে সোমবার

নিউজ ডেস্ক:: নথি না আসায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন হবে কি হবে না সে বিষয়ে সোমবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট ।

রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড মাথায় নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন।

আজ খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আদাতের আদেশ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু নথি না আসায় হাইকোর্ট সোমবার আদেশ দেয়ার কথা বলেন।

১৫ দিনের মধ্যে নথি পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতের নজরে আনেন গত বৃহস্পতিবার। পরে আদালত জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য করেন।

জানা গেছে, মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতে পৌঁছেছে। সে মোতাবেক ১৫ দিন আজ শেষ হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর পেশকার মোকাররম হোসেন যুগান্তরকে বলেছিলেন, বিচারিক নথি আগামী রোববার (আজ) হাইকোর্টে পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, নথি প্রস্তুতের আনুষঙ্গিক কাজগুলো করা হচ্ছে। রোববার এ মামলার নথি উচ্চ আদালতে পাঠানো হবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল আবেদনে নিম্ন আদালতের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ৪৪টি যুক্তি দেখানো হয়। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক আদালতের দণ্ড স্থগিত চাওয়া হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের দেয়া জরিমানার আদেশও স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদন ২৫ ফেব্রুয়ারি শুনানির জন্য রাখেন আদালত। আদেশে এ মামলায় বিচারিক আদালতের নথি তলব করে ১৫ দিনের মধ্যে তা হাইকোর্টে পাঠাতে সংশ্লিষ্ট আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শেষে আদালত বলেছিলেন বিচারিক আদালতের নথি আসার পর আদেশ দেবেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. আক্তারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ অর্থ দণ্ডের টাকা প্রত্যেককে সমান অঙ্কে প্রদান করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। রায়ের পর থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়ার পর ৩২টি যুক্তি দেখিয়ে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন দেয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, আবেদনকারীর বয়স ৭৩ বছর। তিনি শারীরিকভাবে বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। তিনি ৩০ বছর ধরে গেঁটেবাত, ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিস, ১০ বছর ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে আয়রন ঘাটতিতে ভুগছেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *