নিউজ ডেক্স:: ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ শ্লোগান নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সাইকেল র্যালি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’।
রবিবার (১১মার্চ) দুপুর ১২ টায় র্যালিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জবিতে পৌঁছায়। এসময় তারা জবির প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থিত শহীদমিনারে অবস্থান নিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, কোটা ব্যবস্থায় চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন মেধাবী শিক্ষার্থীরা। একটি দেশের ৫৬ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এছাড়া কোটা ব্যবস্থায় চাকরিতে প্রবেশের সময় সীমাতে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এর যুগ্ম আহ্বায়ক তার বক্তব্যে বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ১৯(১), ২৯(১) ও ২৯(২) অনুচ্ছেদ সমূহে চাকরির ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের সমান সুযোগের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে তা প্রতীয়মান হচ্ছে না চলছে চরম বৈষম্য। মেধাবীদের মূল্যায়ন পাচ্ছে না।এসময় তিনি বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এর পক্ষ কোটা সংস্কারের পক্ষে পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিসমূহ হল :
১। কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ৫৬% থেকে ১০% এ নিয়ে আসতে হবে।
২। কোটায় কোন ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া যাবে না।
৩। চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিক বার ব্যবহার করা যাবে না।
৪। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাট মার্কস ও সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে।
৫। কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্য থাকা পদসমূহে মেধায় নিয়োগ দিতে হবে।
সমাবেশে তিনি ঘোষণা দেন, আগামী ১৪ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সারা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করবে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’, দেশের সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে।
সমাবেশ শেষে বক্তরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে লিফলেট বিতরণ করেন কোটা প্রথার সংস্কারের দাবিতে সমর্থন চেয়ে। র্যালিটি এরপর সরকারি কবি নজরুল কলেজ, বদরুন্নেছা কলেজ হয়ে ঢাকা কলেজে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে শেষ হবে জানিয়েছেন র্যালিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা ।