খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশ রোববার

নিউজ ডেস্ক:: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশ আগামী রোববার দেবেন হাইকোর্ট।

সেদিন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

খালেদা জিয়ার জামিন হবে কিনা তা জানতে আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন সবাই।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, এ মামলায় জামিন হবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর। দুদকের মামলায় ৫-১০ বছরের সাজা হলেও আসামির জামিনের নজির আছে। অন্য কোনো মামলায় যদি নতুন করে গ্রেফতার দেখানো না হয়, তবে জামিন পেলে খালেদা জিয়ার কারামুক্তিতে বাধা নেই।

এর আগে দায়ের করা চারটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে।

দুদকের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারা খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধিতা করবেন। এরপরও জামিন হলে কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে তারা আদেশের বিরোধিতা করে চেম্বার জজ আদালতের দ্বারস্থও হতে পারেন।

খালেদা জিয়ার নামে অন্য কোনো মামলায় শোন অ্যারেস্ট আছে কিনা এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। এ বিষয়ে উনারা ভালো বলতে পারবেন। আমি শুধু বলব- আইন আইনের গতিতে চলবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কাউকে কোনো সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে না।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া সাজার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। পাশাপাশি স্থগিত করেন তার অর্থদণ্ড।

এর এক সপ্তাহ আগে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আপিল (আপিল নম্বর ১৬৭৬/২০১৮) দায়ের করেন। আপিলের ফাইলিং আইনজীবী হয়েছেন আবদুর রেজাক খান।

৪৪টি যুক্তি তুলে ধরে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়া হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় কোর্ট বসলে রাষ্ট্রপক্ষে ফরহাদ আহম্মেদ বলেন, তারা খুব অল্প সময় আগে আসামিপক্ষের কাছ থেকে কপি পেয়েছেন। শুনানির আগে তাদের সময় প্রয়োজন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *