নিউজ ডেক্স:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমাদের এই অগ্রযাত্রা কেউ ব্যাহত করতে পারবে না। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেটি হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিমুক্ত আধুনিক, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির বাংলাদেশ। এ কাজে আপনারাই হচ্ছেন অগ্র সৈনিক।
শনিবার সকালে খুলনার খালিশপুরে আইইবির খুলনা কেন্দ্রে ৫৮তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন ।
তিনি বলেন, আমরা উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই। এ উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আপনারা পেশাগত দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করুন।
বিভিন্ন খাতে তার সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। গত বছরে আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.২৮ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের উপরে। মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার। সকল ক্ষেত্রে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মহান স্বাধীনতার মাসেই আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হচ্ছি।
বিদ্যুৎ সেক্টরের উন্নয়ন প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, ভারতের সঙ্গে আন্তঃগ্রীড নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। যার মাধ্যমে আঞ্চলিক জ্বালানি নিরাপত্তা বলয় গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, আমরা ভারত থেকে ৫০০মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছি। পর্যায়ক্রমে এ আমদানির পরিমাণ একহাজার মেগাওয়াট হবে। নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বিশ্ব একটি গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। এ বৈশ্বিক গ্রামে এককভাবে উন্নতি করা প্রায়ই দুঃসাধ্য। অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি লাভ করতে হলে আন্তঃমহাদেশীয়, আন্তঃদেশীয় এবং আঞ্চলিক সংযোগ ও সহযোগীতা বাড়াতে হবে।
উল্লেখ্য, সার্কিট হাউস মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নিতে খুলনায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার বেলা পৌনে ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে তিতুমীর নৌ-ঘাঁটির ভিভিআইপি হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে নৌবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়েছে গোটা শিল্পনগরী। পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দারা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছে জনসভাস্থলসহ আশপাশের এলাকায়। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে পুরো খুলনা নগরীজুড়ে তৈরি করা হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনি। পাশাপাশি তৎপর রয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটি খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় সফর। এর আগে ২০১৫ সালে তিনি খুলনা শিপইয়ার্ডে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।