নিজাম হাজারীর এমপি পদ বৈধ

নিউজ ডেস্ক :: ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকার বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে নিজাম হাজারীর এমপি পদ বৈধ বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর একক বেঞ্চ এ রায় দেন। একই বেঞ্চ মঙ্গলবার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ঠিক করেছিলেন।

আদালতে নিজাম হাজারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও নুরুল ইসলাম সুজন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন কামরুল হক সিদ্দিকী ও সত্যরঞ্জন মণ্ডল।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি ওই কোর্টে মামলাটি কার্যতালিকায় উঠে। পরবর্তীতে আরও কয়েকদিন শুনানি হয়।

গত ৩০ জানুয়ারি রিট আবেদনকারীর আইনজীবী সত্য রঞ্জন মণ্ডল জানিয়েছিলেন, বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে নিজাম হাজারীর আইনজীবী শুনানি করেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বিচারপতি বিব্রতবোধ করেন।

এরপর রিটের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর পর তিনি বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর বেঞ্চে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য পাঠান। বৃহস্পতিবার তিনি বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসানের সঙ্গে একমত পোষণ করে রিটটি খারিজ করে দেন।

২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর নিজাম হাজারীর পদে থাকার বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের বিভক্ত রায় দেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. এমদাদুল হক তার রায়ে রুল মঞ্জুর করে নিজাম হাজারীর পদে থাকাকে অবৈধ ঘোষণা করেন। আর কনিষ্ঠ বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এ বিষয়ে করা রিট ও রুল খারিজ করে দেন, তার দেয়া রায়ের অর্থ হলো, নিজাম হাজারীর এমপি পদ বৈধ। এরপর আইন অনুসারে রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে গেলে তিনি একক বেঞ্চে পাঠান। পরবর্তীকালে কয়েকটি একক বেঞ্চ বিব্রতবোধ করেন।

২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু দুই বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। পরে এই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *