ধীর গতিতে চলছে রাস্তা প্রশস্ত করার কাজ, ভোগান্তিতে নগরবাসী

নিউজ ডেস্ক :: উন্নয়নের ভোগান্তিতে সিলেট নগরবাসী। জায়গায় জায়গায় রাস্তা প্রশস্ত করার কাজ চলছে ধীর গতিতে । প্রায় ৯ মাসেও নগরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক চৌহাট্টা-কুমারপাড়া রাস্তার অধিকাংশ কাজই শেষ হয়নি। অথচ এই সড়কের দৈর্ঘ্য এক কিলোমিটারের কম। রাস্তায় জমে আছে ইট-মাটির স্তূপ। উড়ছে ধুলা, বিপর্যস্ত পরিবেশ, বাড়ছে যানজট, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

নগরীর চৌহাট্টা-কুমারপাড়া সড়ক। এক কিলোমিটারেরও কম দীর্ঘ এই সড়কের পাশে রয়েছে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, দুটি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস। পাশে মানুষের বাসাও। ওসমানী মেডিকেলে যাওয়ার প্রধান সড়কও এটি।

কারাগার থেকে বের হয়ে মেয়র আরিফ এই সড়ক প্রশস্ত করার উদ্যোগ নেন। বাসা-বাড়ি, দোকান-পাট ভেঙ্গে কাজও শুরু হয়। কিন্তু এই কাজ চলছে তো চলছেই। ফলে দিনে দিনে বাড়ছে দুর্ভোগ। বাতাসে উড়ছে ধুলা। পথচারীরা মুখে টিস্যু, মাস্ক, কাপড় বেঁধে চলাচল করছে।

পথচারীরা বলেন, ‘প্রতিদিন মাক্স নিয়ে চলতে হয়। মাস্ক ছাড়া চলা অসম্ভব। রাস্তার দু’ধার ভাঙ্গা থাকার কারণে পথচারীদের খুব সমস্যা হচ্ছে। ছোট একটি কাজ যদি একবছর নিয়ে করা হয় তাহলে তো জনগণের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই।’

সময় যতোই বাড়ছে ততোই বাড়ছে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ। দোকান ভাঙ্গার সময় দীর্ঘদিন ব্যবসা বন্ধ ছিল, আর এখন দোকানের সামনে জমে থাকা মাটির স্তূপে আসছে না ক্রেতা। নির্মাণাধীন এই সড়কে যানজট নিয়ম হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘সিটি করপোরেশন পানি দেয় না। বরং তাদের বললে উল্টাপাল্টা বকে। ঠিক আছে আমরা দেখবো, এতোটুকু বলেই শেষ।’

ট্রাফিক পুলিশ বলেন, ‘মাটিগুলো যদি রাস্তার ওপর না রেখে, ফুটপাতের ওপর রাখা হলো তাহলে আমরা ঠিক মতো যানজট নিরসন করতে পারতাম।’মেয়রের দাবি, নানা স্থাপনা, বিদ্যুতের খুঁটি ও গ্যাসের লাইন সরিয়ে ড্রেন নির্মাণে সময় লেগেছে। সামনে সময় কম লাগবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

সিসিক’র মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে আমরা সব কাজ করছি। আগামী পনেরো বিশ দিনের মধ্যে শেষ করতে পারবো।’এদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ বাতাসে ধুলা উড়লেও প্রতিদিন ছিটানো হয় না পানি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *