সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের ধোপাগুল-সাহেবের বাজার-হরিপুর সড়ক মেরামতের দাবিতে সড়কের উপর ধানের চারা রোপন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় ধোপাগুল শহীদ মিনারে খাদিমনগর ইউপি সদস্য ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বশির আহমদের নেতৃত্বে ধানের চারা রোপন করে এলাকাবাসী এ প্রতিবাদ জানান। ধোপাগুল থেকে সীমার বাজার পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়কের কাজ চলছে। কিন্তু ধোপাগুল হতে মুহালদিকের ব্রীজ পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা বেহাল। যা যান চলাচল অনুপযোগী। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।
এই সড়কটি নিয়ে কিছুদিন পূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ঠনক নড়ে। কিন্তু কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর তারা আবার সেই পুরনো চেহারায় ফিরে আসে। এলাকাবাসীর দাবি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মুহালদিক ঝুগিটিলার পাশ দিয়ে বাইপাস পর্যন্ত শহরে যাওয়ার একমাত্র সহজ মাধ্যম। এই অল্প জায়গা মেরামত হলে এ অঞ্চলের মানুষের বহুদিনের আশা আকাঙ্খা পূর্ণ হবে।
খাদিমনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দিলোয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত এলাকাবাসী বলেন, চেয়ারম্যানের অসহযোগিতার কারণে জনগণের আজ এই দশা। তিনি চাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে আলাপ-আলোচনা করে রাস্তা চলাচালের উপযোগী করে দিতে পারতেন।
প্রতিবাদকালে বশির আহমদ বলেন, ২০০৮ সালে বৃহত্তর এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে মুহালদিক ব্রিজের পূর্ব দিক হইতে কেওয়াছড়া বাগান দিয়ে বাইপাস পর্যন্ত একটি বিকল্প সড়কের দাবী জানানো হয়। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদ এর কাছে এলাকাবাসী সংযোগ সড়কের দাবী জানালে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় এই বিকল্প সড়কটির উপর ২টি ব্রিজের জন্য ৫২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু বাগান কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সেই বরাদ্দটি ভেস্তে যায়। বর্তমানে এই বিকল্প সড়কটি এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপািশ ধোপাগুল সাহেবের বাজার সড়কের উন্নয়নের কাজের ধীর গতি ও ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। সড়কটি বেহাল দশা থেকে মুক্তি পেতে আমরা ধানের চারা রোপন করে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে আগামী রোববার বিকাল ৩টায় সাহেবের বাজারে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং ১০ মার্চ থেকে ধোপাগুল শহীদ মিনারে এলাকাবাসীকে নিয়ে আমরণ অনশন সহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন টিলাপাড়া গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বী আব্দুর রহমান, এসএম তারা মিয়া, বড়বন্দের আব্দুল সাত্তার, ফড়িং উড়ার দিলোয়ার হোসেন, ছালিমহল গ্রামের আব্দুল খালিক, টিটু মিয়া, শাহীন মিয়া, সুহেল মিয়া, সুরুজ আলী প্রমুখ।