আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দুটি শহর নিয়ন্ত্রণে নিতে মস্কোর আরও দুই বছর সময় লাগবে। এমন দাবি করেছেন রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। এক সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর ব্লগার সেমিয়ন পেগভকে এই সাক্ষাৎকারটি দিয়েছেন প্রিগোজিন। শুক্রবার এটি প্রকাশিত হয়।
প্রিগোজিন বলেন, রাশিয়ার পরিকল্পনা হলো— দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। গত বছর এই দুটি অঞ্চলকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিল রাশিয়া। তবে এটিকে অবৈধ বলে দাবি করছে পশ্চিমা দেশগুলোসহ জাতিসংঘের বেশিরভাগ সদস্য।
এতে ওয়াগনার প্রধান বলেন, আমার মনে হয়, অঞ্চল দুটির পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিতে দেড় থেকে দুই বছর লাগবে। আর দিনিপ্রো নদী পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ নিতে লাগবে প্রায় তিন বছর।
রয়টার্স বলছে, ওয়াগনার প্রধানের এমন মন্তব্য ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের সম্ভাব্য সময়কাল সম্পর্কে আভাস পাওয়া যায়। তাও আবার এমন একজনের মুখ থেকে এসব তথ্য আসছে,যার সেনারা ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছে।
ওয়াগনার প্রধান বলেন, দোনেৎস্কের বাখমুত শহর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া খুবই জরুরি। সর্বশেষ কয়েক মাস ধরে বাখমুতে দুপক্ষের তীব্র লড়াই চলছে। শহরটিতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ছে রুশ বাহিনী।
রাশিয়া কি শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার খুব কাছাকাছি রয়েছে— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিগোজিন বলেন, বিষয়টি এত তাড়াতাড়ি বলা উচিত হবে না। এখনো অনেক এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাকি রয়েছে। তবে আমরা খুব সুন্দরভাবে এগোচ্ছি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে লড়ছে ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপ। সম্মুখযুদ্ধে রুশ বাহিনীকে সরাসরি সহায়তা করছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইউক্রেনে ওয়াগনার গ্রুপের ৫০ হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। যার মধ্যে ১০ হাজার কন্ট্রাক্টর রয়েছে। এ ছাড়া বাকি ৪০ হাজার রুশ কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়া আসামি। ওয়াগনার কারাগার থেকে মুক্ত হওয়া আসামিদের নিয়োগ বন্ধ করেছে বলে দাবি করেছেন প্রিগোজিন।